এস এ শফি, সিলেট : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট। অনিন্দ্য সুন্দরের এই ভূমি বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে। ঈদ, পূজা বা অন্যান্য সময় ছুটি পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসেন সিলেটে।
এবার পূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ইতোমধ্যে সিলেট নগরের প্রায় সবকটি হোটেল পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। টানা কয়েকদিনের ছুটিতে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।
পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, চা বাগানের সবুজ প্রকৃতি, টিলার ফাঁকে ফাঁকে আঁকাবাঁকা রাস্তা, জাফলং, ভোলাগঞ্জ ও বিছনাকান্দির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বৃহস্পতিবার (১০অক্টোবর) সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
সরেজমিনে দুপুর ১টার দিকে কোম্পানি গন্জের খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ পর্যটক ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় সারি সারি নৌকায় মানুষজন বিছনাকান্দি এলাকার দিকে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
নোয়াখালী থেকে বিছনাকান্দিতে ঘুরতে আসা এনামুল বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে তিন দিনের জন্য সিলেট ঘুরতে এসেছি। এতদিন বিছনাকান্দির নাম শুনেছি। আজ নিজ চোখে এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করবো। সত্যিই এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। আশা করি আমার মতো আমার পরিবারের বাকি সদস্যদেরও ভালো লাগবে।
সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকার গ্রান্ড প্যালেস হোটেল এন্ড রিসোর্টের কাষ্টমার সার্ভিস ম্যানেজার ফারুক রশিদ বলেন, আমাদের হোটেলের সবগুলো কক্ষই আগামী তিন-চার দিন বুকিং থাকবে। পূজার ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পর্যটক বেড়েছে।
সিলেট হোটেল এন্ড গেষ্টহাউস ওনার্স এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছুটির এই কয়েকদিনে সাদাপাথর,জাফলং ও বিছানাকান্দিতে অন্তত লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই সিলেটে এসে অবস্থান করছেন এবং আগামীকাল শুক্রবার এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে। ঈদ এবং বন্যার পর পূজার ছুটিতে সিলেটের পর্যটন ব্যবসায় আশানুরূপ সাড়া জাগিয়েছে।
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকে জাফলং এলাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা থাকলে ও আগামীকাল আরো বাড়বে বলে তিনি ধারনা করছেন।
তিনি বলেন,আমরা সবসময় ট্যুরিস্টদের সেবাদানে প্রস্তুত। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post