Print Date & Time : 9 May 2025 Friday 8:47 pm

প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ আখ্যা দেওয়ায় ইবিতে হট্টগোল

ইরফান উল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সকল পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপ-উপাচার্য প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ আখ্যা দেওয়ায় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বৈষম্য বিরোধীরা দোষীদের বিচারের জন্য উপাচার্যকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে কার্যালয় থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের বের করে দেন। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে বেলা সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি পন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল করে। 
পরে দুপুর পৌঁনে ১টার দিকে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, উল্লাস মাহমুদ ও সাবিক জোয়ার্দারসহ অন্যান্য কর্মীরা ভিতরে থাকা সাংবাদিকদের বের করে দেন। 
একপর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এসময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। তাদেরকে উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। 
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানকে ‘জামায়াত’ বলে আখ্যা দিলে দুজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ প্রক্টরের। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমি দোষীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেযার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছি। এরমধ্যে বিচার না করলে শিক্ষার্থীরা অন্য ব্যবস্থা নিতে নিতে বাধ্য হবে।

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, উপাচার্যের কার্যালয়ে এক জুনিয়র শিক্ষক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। উপাচার্য এর বিচার না করলে আমি বিষয়টি অন্যভাবে দেখবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে সেহেতু আমরা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটির প্রয়োজন নেই। 

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মার্চ ৪, ২০২৫//