Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 4:13 pm

প্রবাসী স্ত্রীর বাচ্চা নিয়ে গেল জ্বিনে!

মেহেরপুর :
বাচ্চা প্রসবের কয়েকদিন আগে জ্বিনেরা নিয়ে গেল এক প্রবাসীর স্ত্রী বাচ্চা । মুহূর্তের মধ্যেই এমন অলৌকিক ঘটন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামের বিভিন্ন পরামাহল্লায়। প্রবাসের স্ত্রীকে এক নজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মোটমোড়া গ্রামে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী আজমিরা খাতুনের গর্ভের ৯ মাসের নবজাতক সন্তানকে নিয়ে গেছে জ্বিনেরা। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমাই এলাকাবাসীরা। তবে ভুক্তভোগী আজমিরা খাতুন এর অভিযোগ কয়েক বছর আগে তার বাড়িতে দুটি সাপের বাচ্চা খেলা করছিলো। ছোট ভাইকে মারতে বলা হলে তিনি সাপের বাচ্চা দুটোকে মেরে ফেলে। এ নিয়ে প্রায় স্বপ্নে জ্বিনেরা দেখাতেন তার বড় ধরনের ক্ষতি করবে না। বাচ্চা পেটে আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময় স্বপ্নের জ্বিনেরা দেখিয়েছিল যে বড় ধরনের একটি ক্ষতি করবে।

সৌদি প্রবাসী আজমিরা খাতুন ও তার পরিবারের দাবি, গতকাল পাঁচ জন জিনের দল এসে জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে আমাকে চেপে ধরে বাচ্চা বের করে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। জিনের সাথে ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয় দেওয়ালে লেগে যায় রক্ত। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী রাজাকে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসীর জানান, এমন ঘটনা কখনো শুনি নাই এই প্রথম শুনলাম তাই দেখার জন্য এসেছি।

সহড়াতলা জামে মসজিদের ইমাম গোলাম কিবরিয়া জানান,
কিছু দুষ্টু প্রকৃতির জিন মানুষের ক্ষতি করে, তবে বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এটি প্রথম বলে জানান সহড়াতলা জামে মসজিদের এই ইমাম।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মাসুদুর রহমান জানান,প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে তার পেটে কোন প্রকার বাচ্চা ছিল না।

ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে জানা যাবে আসলেই তিনি গর্ভবতী ছিলেন কিনা বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিতম সাহা জানান, ঘটার স্থলে পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীদের তেলাওয়াত তথ্যের সাথে বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যায়নি তারপরেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার