মাহাবুল ইসলাম, গাংনী: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যমে প্রেম। প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর অভিযোগ উঠেছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিলা খাতুন (৩০) নামের এক সন্তানের জননীর।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কল্যানপুর গ্রামে। শিলা কল্যাণপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার প্রবাসী সামাদ হোসেনের মেয়ে ও একই গ্রামের কালিতলা পাড়ার প্রবাসী হুসাইন আলীর স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হুসাইন বামন্দী বাজারের খবিরের মোদি দোকানে চাকরি করতো। সেখান থেকে শিলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। দেড় বছর প্রেমের পর পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। প্রায় ১৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের একটি ১১ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে হুসাইন তিন বছর ধরে সৌদি আরবে আছে। সেখান থেকে শিলা ও তার মেয়ের ভরণপোষণ চালিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শহড়াতলা গ্রামের একটি ছেলের সাথে চলে গেছে বলে জানায় শিলা খাতুনের পরিবারের লোকজন। টিকটকের মধ্যমে শিলার প্রেম আদান প্রদান হয় ঐ যুবকের সাথে।
জানা যায়, এক বছর আগেও ভবানীপুর গ্রামের এক ছেলের সাথে চলে গিয়েছিলো শিলা কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে বিষয়টা পারিবারিক ভাবে মিটমাট করে নেয় হুসাইন।
হুসাইনের মা সামছুন্নাহার বলেন, তার ছেলের বউ থাকে তার মায়ের বাড়ি। সেখান থেকে নাকি চলে গেছে। পরের দিন শুক্রবার সকালে শুনছি ছেলের কাছে থেকে জমি কেনার নামে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
হুসাইনের চাচা আব্দুল মান্নান বলেন, সন্ধ্যার পরে চায়ের দোকানে বসে আছি এমন সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা তাকে ফোন করে শিলার সম্পর্কে জানতে চায়। তখন কিছু বলতে না পারায় সে জানায় শিলা পালিয়ে গেছে কোন এক ছেলের সাথে। এর পরে হুসাইনের শ্বশুর বাড়িতে গেলে শিলার মা তার সাথে কোন কথা বলেনি। পরে শিলার চলে যাওয়ার সত্যটা জানা যায়। এর আগেও সে অন্য এক ছেলের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তখন বিষয়টা মেনে নিয়ে মিটমাট করা হয়েছিলো।
হুসাইনের বড় ভাই বলেন, তারা সকালে হুসাইনের শ্বশুর বাড়ি যায় টাকা চাইতে। তখন হুসাইনের শ্বাশুড়ী টাকার বিষয়টা অস্বীকার করে।
হুসাইনের শ্বাশুড়ি রেনুকা খাতুন টাকার বিষয়টা নিয়ে বলেন, সে হুসাইনের সাথে কোন টাকা নেয়নি। তার জামাইয়ের সাথে কোন অর্থনৈতিক লেনদেন নাই। মেয়ে বাসায় নেই। কোথাই গেছে তাও জানি না।

Discussion about this post