মারফত আফ্রিদী: কুষ্টিয়ার মিরপুর বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে অপরহণ, গণধর্ষনসহ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দবিতে মানব বন্ধন করেছে মিরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে।
বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর বাসষ্ট্যান্ডে এই মানব বন্ধনে পরিবারের স্বজনরা, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কয়েক’শ এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন। এসময় পরিবারের অভিযোগ, ময়না তদন্ত/ভিসেরা রিপোর্টে ফাতেমাকে গ্যাংরেফ শেষে নৃসংশ ভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমসহ আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কথা উল্লেখ করা হলেও এঘটনার সাথে কারা জড়িত তাদের সনাক্ত ও গ্রেফতার না করেই দায়সারা গোছের চার্জশীট দেয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
নিহত ফাতেমার পিতা সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত এই ঘটনার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি এঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারেনি। অথচ ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে সঠিক অপরাধীকে সনাক্ত করার প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়ার মাধ্যমে সেটা করা যেতো। কিন্তু তা না করে পুলিশ যাদের ধরেছিলো তাদের বিরুদ্ধেই চার্জশীট দিতে চাচ্ছে। এভাবে চার্জশীট দিলে তো পুলিশ যাদের দোষী বলছে তারা আইনে ফাক গলিয়ে বেড়িয়ে যাবে। আমার মেয়ের হত্যার বিচারও ওখানেই শেষ হয়ে যাবে’। সিআইডি তদন্ত করেও যদি প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় তাহলে আমার মেয়ে হত্যার বিচারও আমি আর পাবো না। আমি অবিলম্বে ফাতেমা হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবি করছি’।
এবিষয়ে মামলাটির সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি’র পরিদর্শক মামুনর রশিদ নিহত ফাতেমার পরিবারের দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘এমামলায় এখন পর্যন্ত যে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নামগুলি বাদীর বলা মতে আসামী করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ডিএনএ টেষ্টে গ্রেফতার আসামীদের ডিএনএ টেষ্টে ম্যাচিং করেনি। সেকারণে ডিএনএ ম্যাচিং অপরাধীদের সনাক্তকরনে সিআইডি এখনও কাজ করছে’।
এহ/17/10/24/ দেশ তথ্য
Discussion about this post