কূটনৈতিক প্রতিবেদক:
আদি পিতা আদম থেকে সকল মানুষের উৎপত্তি। সব মানুষের রক্তের কালার লাল ৷ কিন্তু পৃথিবীতে একটি জাতির রক্ত বিবর্ণ ৷ অর্থাৎ তাদের রক্ত লাল নয়। তাদের বুকের লহু মূল্যহীন I আলোকময় ধরনীতে তারা সূর্যের আলোতে অন্ধকারাচ্ছন৷ যদি কোন নতুন অস্ত্র আবিষ্কার হয় তাহলে তা পরীক্ষা করার জন্য গাজা উপত্যকার চেয়ে উপযুক্ত জায়গা বুঝি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। হতভাগ্য ফিলিস্তিনীদের পাশে কেউ নেই। বড় একা৷ ভাগ্যাহত ৷ ওদের প্রতি খানিকটা সহানুভূতিশীল মিসর আজ লণ্ডভণ্ড। পশ্চাত্যের কূটখেলায় মিসর আজ পরাস্ত।ইসরাইলী ট্যাংক আর বোমারু বিমানগুলোতে মরিচা ধরার আগে সেগুলো ঝালিয়ে নেয়া দরকার। শুরু হয়েছে অস্ত্র ঝালিয়ে নেয়া। খুশী হয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরাও। বিপন্ন বিশ্বমানবতা। কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে আছে বিশ্বের মুসলিম শক্তিমানেরা।
৭৫ বছর ধরে খুঁজছে তারা স্বাধীনতার সূখ। কোথায় গেল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র? সে প্রশ্নের উত্তর ফিলিস্তিনীরা আর খোঁজে না। ২০০৫ সালের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওদের কাছ থেকে আদায় করে নেয়া হয়েছিলো অবৈধ ইসরাইলী রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, দুর্বল আর ভঙ্গুর করে দেয়া হলো পিএলও’কে। ফিলিস্তিনীরা হারালো তাদের সবচেয়ে বড় অভিভাবক ইয়াসির আরাফাতকে। বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হলো তাকে। ফিলিস্তিনীদের আজ আর কোন নেতা নেই। আহমেদ ইয়াসিন, নেই ফুয়াদ নাসের, কেউ নেই আজ। তারা সবাই ইসরাইলী বাহিনীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার।
ফিলিস্তিনীরা স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা ভুলতে বসেছে। নিজভূমে পরবাসী হয়ে পশ্চিমতীর আর গাজা উপত্যকায় গৃহপালিত প্রাণীর মতো কোনরকমে ঠাসাঠাসি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। সেখানেও চতুর্দিকে অবৈধ বসতি নির্মাণ করে ফিলিস্তিনীদের ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল। তবুও একটু শান্তির অপেক্ষায় স্বপ্ন দেখে প্রতিদিন।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post