কুষ্টিয়া বড় বাজারের এক ব্যবসায়ীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ২লাখ ৪৫ হাজার ৮ টাকার মালামাল সরবরাহ করে একদিনেই অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল খোয়ালেন এক যুবক।
কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের পর করে নানা নাটকীয়তা শেষে মডেল থানা হতে বৃহস্পতিবার রাতে অর্ধলক্ষ টাকার প্যারাসুট তেল না পেয়ে অন্যান্য মালামালসহ পাংশা ফিরে গেছে কাওসার আলী।
তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাসিন্দা ও মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ,মেরিকো লিঃ, এটলাস্ট ট্রয়লেট্রিজ এর বিক্রয় প্রতিনিধি ।
মডেল থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া বড় বাজার মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী “সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের “এর স্বত্বাধিকারী শামিমের সাথে অভিযোগকারীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। গত ১২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ১১টা দিকে ব্যবসায়ী শামীম নিজ মোবাইল নম্বর(০১৭২৪৮৮৭২৭৭)থেকে ফোন করে কাওসার কে অর্ডারকৃত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮টাকার মালামাল তার নিজের পাঠানো গাড়ীতে দিতে বলেন এবং দোকানে এসে টাকা নিতে বলেন।সে মোতাবেক একজন লোক চালকসহ একটি করিমন গাড়ী নিয়ে কাওসারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাংশায় আসেন। ঐ করিমন গাড়ীতে করে অর্ডারকৃত মালামালসহ কাওসার টাকা নিতে কুষ্টিয়া বড় বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উক্ত করিমন লাহিনী বটতলায় পৌঁছালে করিমনে থাকা অপর ব্যক্তি মালামাল গোডাউনে রাখার কথা বলেন। এ সময় ব্যবসায়ী শামীম কে মোবাইল করলে বড় বাজারের দোকানে এসে টাকা নিতে যেতে বলেন। একথা শুনে কাওসার করিমন ছেড়ে দিয়ে বড় বাজারে এসে দেখেন দোকানে একজন মহিলা বসে আছেন। শামীমের কাছে বারবার ফোন দিলে একটু বসতে বলে আর দোকানে আসেন নি। আশপাশের দোকানদারদের কাছে শামীমের খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছেন। সন্ধ্যার পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দিলে এএসআই আক্তার তাকে থানায় ডেকে আনেন। জিঞ্জাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করলেও মোবাইল চেক করে বিষয়টির সত্যতা ধরা পড়ে। এরপর মাল ফেরত দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত শামীম কৌশলে থানা থেকে সটকে পড়েন। নানা নাটকীয়তা শেষে পরদিন রাতে মালামাল ফেরত দিতে অর্ধলক্ষ টাকার প্যরাসুট তেল কম আনেন। দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত ও আতংকিত কাওসার গভীর রাতে বাদবাকী মাল নিয়ে থানায় দেয়া অভিযোগ পত্রটি প্রত্যাহার করে পাংশা ফিরে যান।
প্রতারিত কাওসার বলেন, “আমি কুষ্টিয়া বড় বাজারে আর ব্যবসা করবো না। একদিনের ব্যবধানে শুধু মাত্র অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল খোয়া যায় নি,মালামাল উদ্ধারে তদবীর করতে আরো খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।মামলা চালানো মত শক্তি আমার নেই। আমি এখন ঋণ শোধ করা নিয়ে চিন্তিত।”

Discussion about this post