রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের বরণে বর্ণিল সাজে সেজেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষনে হোটেল মোটেলের পক্ষ থেকে ঘোষনা করা হচ্ছে আকর্ষনীয় অফার। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানী বন্ধে নেয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ।
সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হবে এমন আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা।
পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমনের দিকে ঝুঁকছেন ভ্রমন পিপাসুরা। তাই এবারের ঈদে ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন তারা। এতে খুশির ছোঁয়া লেগেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সাজ সাজ রবে তারা হোটেল মোটেলের কক্ষ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা সহ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্য বুকিং হয়েছে হোটেল মোটেলের ৭০ ভাগ কক্ষ। রেস্তোরাঁগুলোতে নেয়া হচ্ছে নতুন নতুন সুস্বাদু খাবারের পদ তৈরির উদ্যোগ।
এছাড়াও এখানকার ট্যুরিজম পার্ক , জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, লাল কাঁকড়ার চর, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, সমুদ্রপথে ফাতরার বন, সোনাকাটা ফকিরহাট ( ইকোপার্ক) প্রভৃতি স্পট ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ করাতে প্রস্তুত, ট্যুর গাইড, মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক, ট্যুরিস্ট বোট, স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক সহ বিভিন্ন রাইডের চালকরা। শেষ মুহুর্তে নিজেদের যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা ঝালিয়ে নিচ্ছেন তারা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার মার্কেটের দোকানগুলো পর্যাপ্ত পন্য দিয়ে সাজানো হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ফ্রাই ও বারবিকিউ ব্যাবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী রিমন বলেন, “রমজানে বিক্রি কম থাকলেও ঈদের পর পর্যটকদের আনাগোনায় বেচাকেনা বাড়বে। দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কুয়াকাটার সংযোগ সহজ হওয়ায় এবার আরও বেশি পর্যটক আসতে পারে।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাসেল বলেন,রমজানের একমাসে আমাদের পর্যটক কম ছিলো। ইতিমধ্যে আমাদের সাজসজ্জা সহ সকল কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল এর ৭০ % রুম বুকিং হয়েছে আশা করছি এ বছর পর্যটক অনেক হবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবছর কুয়াকাটা উপচে পড়া ভিড় হয় এ বছরে অনেক দিন ছুটি থাকায় আশা করি কুয়াকাটায় এবার পর্যটক সংখ্যা বেড়ে যাবে। এজন্য কুয়াকাটা পর্যটন নগরীর হোটেল মোটেল গুলো পর্যাটন সেবা নিশ্চিত করতে তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছ। যেখানে যেটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঈদে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হবে বলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল জোরদার করা হয়েছে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় তদারকি, সৈকতে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Discussion about this post