কুষ্টিয়ার ইবি থানার ঝাউদিয়ার অরিন শর্মাকে আজীবন শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ। ১০ বছর বয়সী অরিন শর্মার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় সকল পড়াশোনা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান সহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে বসুন্ধরা গ্ৰুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান।
কুষ্টিয়ার শিশু অরিন শর্মার বাবার নাম অকিল শর্মা। সে ছোট্ট একটি স্বর্ণের দোকানের কারিগর। অরিন ঝাউদিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। তার প্রতিবন্ধী একটি বোন আছে। বাবার সামান্য আয় দিয়ে চলে তাদের ৪ জনের সংসার।
অরিন একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে মায়ের নির্দেশে একটি দোকান থেকে বসুন্ধরা আটার প্যাকেটটি কিনে খুব যত্ন করে বুকে জড়িয়ে পথ চলছিল। বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি কৌতূহলী হয়ে অরিনের একটি ছবি তুলে তাদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে পাঠায়। বিভাগীয় প্রধান সেলস কনফারেন্স এর জন্য কমিউনিকেশনের এক ব্যানারে ছবিটিকে ছাপিয়ে দেন। ব্যানারের ওই ছবিটি ভাইস চেয়ারম্যানের নজরে আসে। তিনি অরিন শর্মার মুখের মায়াময় হাসি এবং বসুন্ধরা আটার প্যাকেটটি যত্নে জড়িয়ে রাখায় মুগ্ধ হন।
এরপর তিনি অরিন শর্মার পরিবারকে ঢাকায় আসতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) তারা বসুন্ধরার হেডকোয়ার্টার-২ এ আসে। এসময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান অরিন শর্মার বাবার হাতে একটি স্মারক তুলে দেন। এছাড়াও তিনি অরিন শর্মার পরিবারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় বসুন্ধরা গ্ৰুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান বলেন, বসুন্ধরা মানবিক সহায়তায় অগ্রগামী। এই প্রতিষ্ঠান সব সময়ই মানুষের কল্যানে দাঁড়াতে থাকে সচেষ্ট। আজীবন শিক্ষাবৃত্তি পুরষ্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাতে করে হাজারো অরিন শর্মার স্বপ্ন পূরণ হয় সেজন্য এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
অরিন শর্মার বাবা অকিল শর্মা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমার ছেলের পড়াশোনা সহ কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিয়েছে, এতে আমি খুবই আনন্দিত। আমার ছেলে বড় হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যানে কাজ করবে। এই অবদানের শরীক থাকবে বসুন্ধরা। আমাদের মতো গরীবের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসায় আমি বসুন্ধরার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এসময় বসুন্ধরা ফুড এন্ড মাল্টি ফুড ইউনিট এর জি.এম. (সেলস,) রেদওয়ানুর রহমান বলেন, কিভাবে দীর্ঘস্থায়ী এবং জীবনমুখী কল্যানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয় আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান তা করে দেখালেন। আজীবন শিক্ষাবৃত্তি পুরষ্কার তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শিক্ষাবৃত্তি সনদপত্র হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার, বসুন্ধরা ফুড এন্ড মাল্টি ফুড), আব্দুস শুকুর (সি.ও.ও, সাপ্লাই চেইন ডিভিশন), এম এম জসীম উদ্দিন (সি.ও.ও, ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রূপ), আব্দুর রহমান (কোর্ডিনেটর টু ভাইস চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা গ্ৰুপ), বেলাল হোসেন (হেড অফ একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স, বসুন্ধরা ফুড এন্ড মাল্টি ফুড), সহ আরও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
মানুষের কল্যানে বসুন্ধরা তা আবারো প্রতিফলিত হলো। বসুন্ধরা আটার ২ কেজির প্যাকেট তার জীবন বদলে দিবে তা হয়তো ছোট্ট ওই শিশুটি কখনো ভাবতেও পারেনি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ১৮,২০২২//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post