নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ব্যবসায়ী আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের বিরুদ্ধে সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দল থেকে বহিস্কৃতদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা ও সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজ করে যাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
‘বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বর অপরাধের দায়ে দল থেকে বহিস্কৃত, এবং আইনের চোখে চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়ে তিনি কাজ করছেন। যা ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনকে সাধারণ জনগণ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
রীতিমতো দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে অনবরত বহিস্কৃতদের নিয়ে একই মঞ্চে প্রোগ্রাম, ব্যানার, ফেস্টুনসহ নানা রকম কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আহমেদ সোহেল মঞ্জুর। এমনকি ব্যক্তি স্বার্থে অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের উপর বিভিন্ন সময়ে হামলা করানোর মতো অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমান ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সকল স্তরে অস্থিরতা ও সাধারণ জনগণের কাছে সংগঠনের ভাবমূর্তি বিনষ্টের পিছনের ব্যক্তি সোহেল মঞ্জুর। এছাড়া তার অনুসারি বহিষ্কৃত আবুল কালাম ও শামিমের নাম বারবার উঠে আসছে। সোহেল মঞ্জুর নিজের ইচ্ছেমতো সংগঠন পরিচালনা এবং বহিস্কৃতদের প্রশ্রয় দিলেও, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এবং নিজেকে তারেক রহমানের বন্ধু পরিচয় দেওয়া ও বিত্তশালী হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা কথা। উপজেলা বিএনপির ব্যনারে নানা রকম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জনগণকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। বিভিন্ন প্রোগ্রামে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত থাকে। সেখানে যদি দল থেকে বহিস্কৃত কেউ থেকে থাকে বা কেউ আমার সাথে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দেয়, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, বিভিন্ন সময়ে শুনেছি আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন বহিস্কৃতদের নিয়ে রাজনীতি করেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

Discussion about this post