রাকিবুল ইসলাম তনু,পটুয়াখালী:পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দ্বিপাশা এলাকায় ভূমিদস্যুদের দখলদারিত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোসাম্মৎ তাছলিমা আক্তার (৩৮) নামের অসহায় নারী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখলে স্থানীয় শামসুল হক, খোকন প্যাদা, সোহাগ হোসেনসহ প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা বাঁধা দিয়ে তা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। তাদের দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে মামলা করলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রতিপক্ষের প্রভাবে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষরা সশস্ত্র অবস্থায় জমিতে প্রবেশ করে ধান নষ্ট করে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং দুই কন্যার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি বৃদ্ধ শাশুড়িকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন করেও পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাননি অভিযোগকারী।
পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে এবং প্রতিপক্ষদের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। আমাদের ধান কেটে বিক্রি করার সময় পুলিশ প্রতিপক্ষদের সহযোগিতা করেছে, কিন্তু আমাদের কথা শোনেননি। ধান কেটে স্থানীয় চৌকিদারদের জিম্মায় রাখার কথা থাকলেও ধান বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বাউফল থানার এস আই শাহাবুদ্দীন সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা চরম অসহযোগিতা করেছে।
ভূমিদস্যুদের এহনো কর্মকাণ্ড এবং পুলিশের অসহযোগিতার হাত থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিচার বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, দুই পক্ষের ই দাবিদার থাকায় ওই জমির ধান উভয় পক্ষ দাবি করায় আমরা ধান কেটে তৃতীয় পক্ষ স্থানীয় চৌকিদারের কাছে জমা রাখি। এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি।