মাথা উঁচু করে দুই দিন আগেও বাতাসে দোল খাচ্ছিল কৃষকের স্বপ্ন আমনধানের গাছ। কৃষকদের স্বপ্ন ছিল এ ধানকে ঘিরে। বাঘারপাড়ার দোহাকুলা মাঠের ইটভাটা ফাইভ স্টার ব্রিক্সের আগুনের তাপে সে স্বপ্ন পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। ইটভাটার আগুনের তাপে প্রায় ২০০ বিঘা জমির উঠতি আমন ধানের ফসল পুড়ে গেছে। বিশাল এলাকাজুড়ে ধানের গাছ দেখা গেলেও সেগুলো লালচে হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আমিনুর, সোহেলসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইট পোড়ানোর শেষ পর্যায়ে এসে ইটের ভাটা ঠাণ্ডা করতে ভাটার মালিক চুলার মুখ খুলে দেন। এতে রাতে ভাটার আগুন ৩০ থেকে ৪০ হাত উপরে উঠে যায়। এ সময় ভাটার উত্তর ও উত্তরপশ্চিম পাশের কমপক্ষে ২০০ বিঘা জমির আমন ধানের পাতাসহ গাছ পুড়ে যায়। কমপক্ষে ১৫০ কৃষকের আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, এবার এ মাঠে দুই বিঘা জমিতে হাবু ধান চাষ করেছেন। ইটভাটার আগুনে এত বড় ক্ষতি হলো। ইটভাটা হওয়ার পর থেকে এখানে চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে।
ইটভাটার মালিক শাহিন বলেন, ‘গত ৭/৮ মাস ধরে ভাটা চলছে। কৃষকের কোনো ক্ষতি হয়নি। হঠাৎ করে মাঠের ধানগাছ লাল হয়ে যাওয়ায় ভাটার দোষ দেওয়া হচ্ছে। ভাটার আগুন-ধোঁয়ায় দু’এক বিঘা জমির ধান নষ্ট হতে পারে। কিন্তু দু’শ বিঘা জমির ধানগাছ তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সায়েদা নাসরিন জাহান বলেন, কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা তান্নি বলেন, ইটভাটার আগুনের কারণেই ধান গাছ পুড়ে গেছে। ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৫ অক্টোবর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post