মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে একাধিক মাদক ও কয়লা পাচাঁর মামলার জেলখাটা আসামী ইয়াবা কালামের নেতৃত্বে চলছে জমজমাট চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য।
আজ শনিবার (৯ অক্টোরব) ভোরে ওই সীমান্তের চোরাচালান সিন্ডিকেডের সদস্য কাসেম মিয়ার নৌকা বোঝাই করে ১৩ মে.টন ও কুদ্দুস মিয়া নৌকা বোঝাই করে ৬ মে.টন চোরাই কয়লাসহ বিপুল পরিমান ইয়াবা, মদ ও গাঁজা পাচাঁর করে পাটলাই নদী হয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর দিয়ে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা সদরের মনতলা ব্রিজ সংলগ্ন আজিজ মিয়া, সাজু মিয়ার ডিপুতে নিয়ে মজুত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করাসহ চোরাকারবারীদের গ্রেফতারের জন্য নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মাদক মামলা জেলখাটা আসামী ইয়াবা কালাম মিয়া চিহ্নিত সীমান্ত চোরাকারবারী লালঘাট গ্রামের মানিক মিয়া, শহিদুল্লাহ, হারুন মিয়া, একদিল মিয়া, কাসেম মিয়া, কুদ্দুস মিয়া ও খোকন মিয়াগং কে নিয়ে একটি সিন্ডিকেড তৈরি করে প্রতিদিন ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি কয়লা ও মাদকদ্রব্যসহ বাঁশ,কাঠ পাচাঁর করছে। আর পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালের মধ্যে ১বস্তা (৫০কেজি) চোরাই কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১শত টাকা, থানা-পুলিশের নামে ৫০টাকা ও পাশর্^বর্তী চারাগাঁও ক্যাম্পের নামে প্রতি নৌকা থেকে ১হাজার টাকা চাঁদা নেওয়াসহ সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে স্থানীয় ২জন জনৈক চাঁদাবাজের নামে প্রতি নৌকা থেকে ২হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে ইয়াবা কালাম, রমজান মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈরব।
প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) ভোরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট গ্রামের পাকা রাস্তার মাথায় ইয়াবা কালামের বাড়ির সামনে অবস্থিত হাওর পাড়ে ২টি ইঞ্জিনের নৌকায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ১৯ মে.টন চোরাই কয়লা ও মাদকদ্রব্য ওপেন বোঝাই করার হলেও বিজিবি এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তবে সম্প্রতি এই সীমান্তের লাকমা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী লেংড়া বাবুলসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু চিহ্নিত চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে জন্য আজ পর্যন্ত কেউ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে বালিয়াঘাট সীমান্তে দিনদিন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বেড়েই যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে দৈনিক সংবাদের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন- ৩টি শুল্কস্টেশন থাকার পরও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে যারা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এসহান সাংবাদিকদের বলেন, সুনিদিষ্ট তথ্য পেলে আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা নেব। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Discussion about this post