বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন,‘এ সরকারের আমলে গুম-খুনের যে অভিযোগগুলো তা সম্পূর্ন কাল্পনিক এবং অসত্য। এর কোন ভিত্তি নেই। এ বাংলাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি এবং মানবাধিকার লংঘনের রাজনীতি শুরু হয়েছিলো বিএনপির হাত ধরে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ওই সময়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলো। এবং আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাসহ প্রায় ১২শ সামরিক বাহিনীর সেনাবাহিনী,নৌবাহীনির বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরকে তিনি বিনা বিচারে ফাসিঁ দিয়ে হত্যা করেছিলেন।
হানিফ বলেন, ১৫ ই আগষ্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে যে হত্যা করা হয়েছিলো এটা ছিলো পৃথিবীর মধ্যে নিষ্ঠুর, ভয়াবহতম, মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা। সেই ঘটনার সঙ্গে এই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো সেসময় রাষ্ট্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করে ২০০৪ সালে ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। এই বাংলাদেশে যতগুলো হত্যা, গুম এবং খুনের রাজনীতি করেছে সবই বিএনপি করেছে।
জোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে হানিফ আরও বলেন, ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের সাথে আওয়ামী লীগের বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে তাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এবং সেই বৈঠকে জোটের শরীক দলের নেতারা কেউ অসন্তোষ্টি ব্যক্ত করেনি। আওয়ামী লীগ আসা করছে আসন ভাগাভাগি নিয়ে যে বিষয়টি রয়েছে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সেটা খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে। তবে ১৪ দলীয় জোট যে কয়টি আসন পাবে তারা নৌকা প্রতীক নিয়েই ভোট করবে। আসন বন্টনের বাইরেও যদি ১৪ দলীয় জোটের নেতারা ভোট করতে চান তাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে সেটাও তারা সুযোগ পাবে।
সোমবার দুপুরে (১১ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন। এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post