নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউপি’র ইশালমারীতে জাসদ ও আওয়ামী লীগের একই এলাকায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে দেখা দেয় বিবাদের আশন্কা । জাসদ সমর্থকরা বিশৃংখলা এড়াতে তাদের সমাবেশ স্থগিত করলেও আওয়ামী সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত কোনো সমাবেশ করেনি ঐ এলাকায় ।
কুর্শা ইউনিয়নের ইশালমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গতকাল বুধবার ৩ টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশের কথা থাকলেও তা হয়নি । সকাল ১১ টা থেকেই নেতা – কর্মী সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে জমায়েত হতে থাকে । সমাবেশে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ , মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী , জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক কারশেদ আলী উপস্থিত থাকার কথা ছিল । দুপুর ১২ টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা – কর্মীরা ইশালমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ইশালমারী বাজার মোড়ে সমাবেশের ডাক দেয় । এ নিয়ে ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । জাসদ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর আলী বিষয়টি অনুমান করতে পেরে তিনি নেতা – কর্মীদের শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন । এক পর্যায়ে জাসদ নেতা – কর্মীরা দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে সমাবেশ স্থগিত করেন । অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও শেষ পর্যন্ত ইশালমারী বাজার মোড়ে কোনো সমাবেশ করেনি । স্থানীয়দের ভাষ্যমতে পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী জহুরুল পরিকলন্তিভাবে বিশৃংখলা তৈরির উদ্দেশ্যে তাৎক্ষনিকভাবে আওয়ামী লীগের ব্যানারে সমাবেশের আহবান করে । এনিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর আলী স্থানীয় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের নিকট থেকে ইশালমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাবেশের জন্য পূর্ব অনুমোদন নেয় । সে মোতাবেক তিনি জাসদ নেতা – কর্মীদের সমাবেশ সফল করার জন্য আহ্বান জানান । এদিকে ঐ একই এলাকায় আওয়ামীলীগ সমাবেশ ডাকায় তাৎক্ষণিকভাবে জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর আলী মাজহাট পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি আব্দুল আহাদকে বার বার বিষয়টি অবগত সহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন । এক পর্যায়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল আহাদ জাসদ আওয়ামীলীগ দু’গ্রুপকেই পৃথক পৃথক সময়ে একই দিনে সমাবেশের জন্য মৌখিক নির্দেশ দেন । পুলিশ কর্মকর্তার কথার সাথে একমত হতে পারেনি জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর আলী । এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর আলী পুলিশ কর্মকর্তার দ্বিমুখি আচরনে ক্ষুদ্ধ বলেন- ‘ আপনি জনগনের সেবক , কিভাবে একই এলাকায় একই দিনে দুটি দলকে সমাবেশের কথা বলেন ? আমি শান্তির পক্ষে , আমি আমার সমাবেশ স্থগিত করলাম । এসময় পুলিশ কর্মকর্তা আহাদ আলী তাকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সমাবেশের জন্য অনুরোধ করেন । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ এলাকায় এখন পর্যন্ত কোন বিশৃংখলার খবর পাওয়া যায়নি । তবে জাসদ – আওয়ালীগ কর্মী সমর্থকরা মুখোমুখি । জাসদও এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচির ঘোষণা দেয়নি । তবে জাসদ ঘনিষ্টরা বলছে তারা যে কোনো মূল্যে নির্বাচনের আগে তাদের সমাবেশ সফল করবে ।

Discussion about this post