সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার বর্মণ বলেছেন,জয় পরাজয় বড় কথা নয় এর আগেও ২ বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে প্রতিবারই জনগনের মূল্যবান ভোট ও ভালবাসা পেয়েছি।
কখনও ভাগ্যের কাছে আবার কখনও ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হওয়ার পরও জনগন থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইনি। সুখে দু:খে সব সময় জনগনের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
সোমবার (১৩ মে) রাত ৮টায় ধনপুর ইউনিয়নের জিগাতলা বাজারে এক বিশাল নির্বাচনী সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মণ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মসজিদ মন্দিরের সাধ্যমতো উন্নয়নে সাধ্যমতো অবদান রেখে আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন অতিবাহিত করে চলেছি। তাই আপনাদেরকে ছেড়ে আমার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আপনাদের সেবক হওয়ার জন্যই আমি বারবার আসি। এবার তৃতীয় এবং শেষবারের মত এসেছি। আপনারা সেবক হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন।
ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিলন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আলমনূর হীরা,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক আল হেলাল,বিশ্বম্ভরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নেছার আহমদ,ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান তালুকদার, ফতেপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সলীল তালুকদার,আওয়ামী লীগ নেতা দিপু তালুকদার,যীশু তালুকাদার,জুনায়েদ আহমদ,ডাঃ বাচ্চু মিয়া,ধনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম মানিক,সাদেকুর রহমান,ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন,মুজিব বাজার আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ আব্দুল মান্নান,যুবলীগ নেতা হুমায়ূন কবীর পাপন,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিদ্দিক আহমদ,সলুকাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক,সাবেক সহ সভাপতি মরম আলী,আতাউর রহমান মাস্টার,যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সবুজ,পলাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ আমান,রাধাকান্ত দাস,দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পারভেজ দুলাল ও সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াৎ করেন মাওলানা সাইফুর রহমান।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিলন মিয়া বলেন,আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। জাতির জনক সবসময় সিনিয়রদের সম্মান করার রাজনীতি ও দীক্ষা দিয়েছেন সারা জাতিকে। আমি ঐ নৈতিক মূল্যবোধ থেকে এবারের সকল প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক সিনিয়র,সৎ বিনয়ী ভদ্র অমায়িক এবং নিবেদিত মুজিবাদর্শের সৈনিক দিলীপ কুমার বর্মনকে সমর্থন করেছি।
সভায় সাংবাদিক আল হেলাল বলেন,ইতিমধ্যে দিরাই শাল্লায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে শাল্লা উপজেলায় তুলনামূলকভাবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চাইতে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা বেশি। মোট ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজন প্রার্থী ছিলেন মুসলমান আর বাকী ৩ জন প্রার্থী হিন্দু ধর্মাবলম্বী। সাম্প্রদায়িক ভোট হলে একজন মুসলিম প্রার্থীর কাছে ৩ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থী অনায়াসেই পরাজিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে কি ? সেখানে এডভোকেট অবনী মোহন দাস অর্থাৎ একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থীকেই হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই শ্লোগানে বিপুলভোটে নির্বাচিত করেছেন সম্মানিত ভোটাররা। অনুরুপভাবে শতকরা ৭০ ভাগ মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত দিরাই উপজেলায় ৩জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী আর ২ জন মুসলিম প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একই অসাম্প্রদায়িক শ্লোগানে দিরাই থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুটি নির্বাচন বিশ্লেষন ও পর্যালোচনায় দেখা যায়,এবারের ভোটে কোন সাম্প্রদায়িকতা বা উগ্রবাদের অস্তিত্ব নেই। এসব কারণে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়ও আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পরীক্ষিত সৈনিক সৎ আদর্শ শিক্ষক পরিবারের সন্তান দিলীপ কুমার বর্মণকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে চাই।
সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আন্দোলনের নিবেদিত ও পরীক্ষিত সৈনিক দিলীপ কুমার বর্মণকে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য জনগনের প্রতি উদাত্ত আহবাণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মতিউর রহমান।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post