পাটগ্রাম লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সরাসরি লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে চালুর দাবিতে লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রেল পথ ও সড়ক পথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনগন।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী কমিউটার ট্রেনটি হাতীবান্ধা রেল স্টেশনে আটকে রাখেন জনতা এবং লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কেও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
জানা গেছে, লালমনিহাটে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুড়িমারী-ঢাকা রেলয়ে রুটে চলতি বছরের ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’।
উদ্বোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বুড়িমারি রেলস্টেশন থেকে ঢাকা রুটের ট্রেনটি সরাসরি চলাচল করে না। উদ্বোধনের পর থেকেই লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার রুটে চলাচল করে শাটল ট্রেনের মাধ্যমে, ফলে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। অত্র এলাকার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বুড়িমারী রেল স্টেশন থেকে ঢাকা রুটের ট্রেন দুটি চলাচলের জন্য অত্র এলাকার মানুষজন দাবি করে আসছে।
এপ্রেক্ষিতে সরাসরি বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কমরেড এর সভাপতি কমরেড শওকত হোসেন, সমাজসেবক সাইদুজ্জামান কোয়েল,সংবাদ কর্মী ফারুক হোসেন নিশাত ও সচেতন জনগণের পক্ষে ফিরজ হোসেন,বৈষম্যবৃদ্ধি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, মেহেদী হাসান মহসীন, তাওহীদ, রুবায়েদ খন্দকার প্রান্ত,মেহেদী হাসান শুভ,আল আমিন, ফাইম স্বাগত সহ আরো অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হাতীবান্ধার সমাজসেবক ফারুক হোসেন নিশাত বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তবুও আমাদের দাবি বাস্তব না করার কারণে আমরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ না আসা পর্যন্ত সড়ক এবং রেলপথ অবরোধ থাকবে।
এ সময় হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী উপস্থিত ছিলেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার দুলাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে বলেন,বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে ট্রেনটি বুড়িমারী রেল স্টেশনে না এসে লালমনিরহাট রেল স্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটে চলাচল করে। চার উপজেলার ট্রেনটির যাত্রীদের শাটল ট্রেনের মাধ্যমে লালমনিরহাট নিয়ে যাওয়া হয় এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভাগে শিকার হয়। রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে পড়ছে।