২২ দিন ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সর্বশেষ ২১ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে। তারপর থেকে ভারতেও ইলিশ রফতানি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সময় সল্পতা আর সংকটের কারনে এবছরও সরকার অনুমোদিত সব ইলিশ রফতানি সম্ভব হচ্ছে না।এ বছর সরকার অনুমোদিত ৩ হাজার ৯৫০ টনের মধ্যে ১১ দিনে মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে। সব ইলিশ রফতানিতে সময় বৃদ্ধির প্রয়োজন বলছেন ব্যবসায়ীরা।
রফতানিকারক সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার দেশের বাইরে রফতানি বন্ধ করেছে। তবে দুর্গা পূজা উপলক্ষে সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমানে ইলিশ কেবল ভারতে রফতানি করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশ পূজায় অতিথী আপ্যায়নের ভরসায় থাকে পশ্চিম বঙ্গের বাঙালীরা। এবছর দেশের ৭৯ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় সরকার। গত ২১ সেপ্টম্বর থেকে শুরু হয় ইলিশ রফতানি। এ পর্যন্ত ২৯ টি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ রফতানি করতে পেরেছেন।
এদিকে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রফতানি বন্ধের কবলে পড়েছে। এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রফতানিতে প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রফতানিকারকেরা বাকি ইলিশ পাঠাতে সময় বৃদ্ধির আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন।
ইলিশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল জানান, সময় স্বল্পতায় সব ইলিশ রফতানি করা সম্ভব হয়নি। সরকার যদি সময় বাড়ায় তবে বাকি ইলিশ রফতানি করা যাবে।
বেনাপোল মৎস পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানায়, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারণে ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ভারতে রফতানি বন্ধ থাকবে। এতে করে এ বছর সব ইলিশ রফতানি করা হচ্ছেনা ভারতে। গেল বছর ইলিশ রফতানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার টন। সে সময়ও সময় কমের কারণে মাত্র ১৩০০ টন ইলিশ রফতানি হয়েছিল।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//