বেরোবি প্রতিনিধি :
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) মিথ্যা তথ্য দিয়ে ‘সি ক্যাটাগরিতে জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে— এমন অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: শওকাত আলীর কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী বাস্তবে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনে সক্রিয় না থেকেও কিংবা কোনপ্রকার শারীরিক ক্ষতির শিকার না হয়েও নিজেদের ‘জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে শুধু সনদই সংগ্রহ করেননি, বরং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং একইসাথে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ঘটছে। এজন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে ‘সি ক্যাটাগরি জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নাম ও সনদ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন মাহফুজ আলম অনি। তিনি বলেন, “আমরা চাই যারা প্রকৃত অর্থে জুলাই অভ্যুত্থানে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতি বা অঙ্গহানির শিকার তারা এই সি ক্যাটাগরির জুলাইযোদ্ধা হিসেবে নথিভুক্ত থাকুক। আর যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে জালিয়াতি করে এই সনদ বানিয়েছে তাদের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং এমন জালিয়াতির জন্য তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তাদের সনদ অর্থাৎ যারা তদন্তে প্রমাণিত হবে যে তারা আসলেই আহত হয়নি বা অঙ্গহানি, বা দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতির শিকার নয় তাদের সনদ বাতিল করা হোক।”
এব্যাপারে প্রশাসনের কোনো ব্যক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Discussion about this post