একই যোগ্যতায় কেউ ১০ কেউ ১৬ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এ নিয়ে গ্রেড ও বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরগন।
তারা বলছেন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অধিকাংশ কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় ১৬ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। একই যোগ্যতায় বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের অধিদপ্তর সমূহে যেসব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা চাকরী করছেন তারা ১০ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। একই যোগ্যতায় দুই ধরণের গ্রেড ও মর্যাদা বেতন বৈষম্য তাদের জন্য মানসিক যন্ত্রণা তো বটেই।
এই ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিন্যাস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরগন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হয়েও ১৬ গ্রেড বেতন পাওয়া বৈষম্য ও সরকারী বিধির চরম পরিপন্থি।
আবার বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগ সার্কুলার দেওয়া হয়েছে তাতে পুরুষ ও মহিলার প্রার্থীর যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ডিগ্রি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশে ৯হাজারটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক ল্যাব এ একজন করে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে পর্যায় ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ।
এসমস্ত বৈষম্য নিয়ে এই পদে চাকরীরত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরদের মাঝে ক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। তারা প্রতিনিয়তই এর প্রতিকার চেয়ে নানা মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে দৈনিক দেশতথ্য বাংলার একজন প্রতিনিধি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলেছে।
তারা বলেছেন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগের যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার চাওয়ার পরও তাদের গ্রেড ও বেতন কেন ১৬তম থাকবে?
১৯৯৪ সালের স্বারক নং সন (বিধি-২) ২৭/৯৪-১৪৯ ২য় শ্রেণী পদমর্যাদার গেজেট প্রকাশ করা হয়। এই গেজেটে বর্নিত ঘোষণা অনুসরন করা হয়নি।
তাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড নিছক কোনো দাবি নয়, এটা তাদের ন্যায্য অধিকার। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সরকার কর্তৃক ২য় শ্রেণীর পদমর্যাদার গেজেট থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় শ্রেণীর চাকরিজীবী হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। যা কোনভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।
যেহেতু সরকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ২য় শ্রেণীর পদমর্যাদার ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সেহেতু তাদেরকে ১০ম গ্রেড দিয়ে ন্যায্য অধিকার প্রদান করা এখন সময়ের যৌক্তিক দাবী।
সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর দীর্ঘদিনের চর্চা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ছাত্র ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষনে খুবই গুরুত্ব বহন করে।
কাজেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া নৈতিক দায়। ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //মে ২২,২০২৩//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post