শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট, ১২ জুন \
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সাধুর বাজারে এক ভুট্টা ব্যবসায়ী পথরোধ করে নগদ অর্থ ছিনতাই করার চেষ্টায় দুই পুলিশ সদস্য নারায়ন বম্মর্ণ (৩০) ও মামুন মিয়া (২৮) কে রাতে হাতীবান্ধা থানা ব্যারাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরে আজ বুধবার দুই পুলিশ সদস্যকে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। এই পুলিশ দ্বয় হাতীবান্ধা থানার অধীনে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিল।
ভুট্টা ব্যবসায়ী হাসমত আলী জানান, গতকাল ১১ জুন মঙ্গলবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার সাধুর বাজার হতে পাশের নীলফামারী উপজেলার ডিমলা যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাসের মাঝামাঝি স্থানে অন্ধকারে তার পথরোধ করে ৪৩ লক্ষ টাকা সহ একটি ব্যাগ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তিনি চিকিৎসার দিলে ওই দুই ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য সেই পরিচয় দেয়। এ ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যে সাধারণ ব্যবসায়ী সহ স্থানীয়রা দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ভীড় করে। পরে তারা দোয়ানী রুটের লালমনিরহাট—নীলফামারী সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনা স্থলে ছুটে যায় । পরে পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হয়। পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নারায়ন বম্মর্ণ ও মামুন মিয়াকে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি হতে প্রত্যাহার করে থানা ব্যারাকে নিয়ে আসে। এদিকে একটি নির্ভযোগ্য সূত্র বলছে, ওই দুই প্রভাবশালী পুলিশের উধ্বর্তন কতৃপক্ষকে না জানিয়ে হুন্ডির টাকা আটক করতে যায়। অর্থ আটক হলে একটি রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পায় হুন্ডি ব্যবসায়ী গণ। তারা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে যায়। পুলিশের উধ্বর্তন মহল প্রাথমিক তদন্তে দেখেছে দুই পুলিশ সদস্যের টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মোটিভ ভালোছিল না। সাধারণ মানুষের মধ্যে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বিষয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। গত সাতদিন ধরে সীমান্ত হতে দেদারছে আসছে মাদক ও গরু। এই মাদক ও গরুর অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়। এই বিপুল পরিমাণের নগদ অর্থ দেশীয় হুন্ডির প্রতিনিধির কাছে দিলে তারা প্রতিবেশী দেশের মুদ্রায় পেমেন্ট করে দেয়। এঘটনাটি নিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মাঠপযার্য়ে পুলিশের উধ্বতর্ণ কর্মকতার্ গণ গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্তে নেমেছে। ব্যাগে ৪৩ লাখ টাকা ছিল এই তথ্যটি পুরোপুরি কোন পক্ষ নিশ্চিত করেনি। আন্দোলনরত ব্যবসায়িরা বিষয়টি উত্থাপন করেছে। ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশের হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ভুট্টা ব্যবসায়ির দেহ তল্লাশি নিয়ে কথাকাটাকাটির একপযার্য়ে উদ্বুদ্ধপরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে সেখানে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। দুই পুলিশ সদস্য লালমনিরহাট পুলিশ লাইন হতে থানায় ডিপুটেশনে ছিল তাদের পুনরায় পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মামলার সাক্ষী দিতে দিনাজপুরে অবস্থান করছেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৩ জুন,২০২৪//
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post