ভারতের আসামের পর এবার বন্যায় ভাসছে ত্রিপুরা। ভারি বৃষ্টিপাতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ডুবে যায় রাস্তাঘাট। এছাড়া কয়েকদিনের টানা বন্যায় ভেঙে পড়েছে আসামের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে ভারি বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় আগরতলার রাস্তাঘাট। যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
এদিকে, আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অব্যাহত বন্যায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চার দিন ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে হাফলং রেলস্টেশন। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতাল সবই এখন পানির নিচে। এ অবস্থায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিতে তৎপর ভারতের বিমানবাহিনী।
এছাড়া অঞ্চলটিতে নতুন করে তলিয়ে গেছে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা। রাস্তাঘাট ও ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনো চালু হয়নি ট্রেন চলাচল। চার দিন পেরিয়ে গেলেও চালু করা সম্ভব হয়নি আসামের হাফলং রেলস্টেশন। ভূমিধসের কারণে কাদার নিচে পড়ে আছে পুরো স্টেশন।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে আছে ২৭টির বেশি জেলা। বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে নয়জন। নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন। এছাড়া তলিয়ে আছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
অব্যাহত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ২৭টির বেশি জেলা। বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি অঞ্চল। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম। এরই মধ্যে বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আসাম রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন জেলায় ১৩৫টি শিবিরে ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি মেটাতে রাজ্যজুড়ে খোলা হয়েছে ১১৩টি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র। বন্যাকবলিতদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
জা// দেশতথ্য //২০-০৫-২০২২//০৯.১৭ পি এম
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post