ভূঞাপুর উপজেলার লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাসান আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া সদস্য দিয়ে গভর্নিংবডি পরিচালনা, শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজসমূহে ডিজি ও শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনক্রমে তিনজন বিদ্যোৎসাহী সদস্য গভর্নিংবডিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। অন্যদিকে কোনো কলেজে যদি কারিগরি শাখা চালু থাকে, সেক্ষেত্রে আবেদন করলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে একজন সদস্যেকে অনুমতি দিয়ে থাকে। অধ্যক্ষ হাছান আলী গভর্নিংবডিতে উপরোক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বোর্ড প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় শিয়ালকোল গ্রামের হাসান ছারোয়ার লাভলুকে ও লক্ষীপুর গ্রামের সেলিম পারভেজকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি দেখিয়ে
গভর্নিংবডির বিভিন্ন মিটিং-এ তাদের উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বৈধ-অবৈধ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন সম্প্রতি বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে, ভূঞাপুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত সদস্যদ্বয়ের
গভর্নিংবডিতে সদস্য থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কোনো
সদোত্তর দিতে পারেনি। এছাড়া ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নিয়োগপত্র ও যোগদান করার পর
তার নিয়োগের বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গবেষণাগার/ল্যাব
সহকারী নবসৃষ্ট পদে পরীক্ষায় দ্বিতীয়স্থান অধিকারীকে উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক শিক্ষক বলেছেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ২৮/২৯ বছরে এমন
জালিয়াতি তারা আর কোনোদিন দেখেননি।
এ ব্যাপারে সদস্যদ্বয়ের অভিমত জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা দায়ী নই। আমাদেরকে
অধ্যক্ষ বলেছেন আমরা গভর্নিং বডির সদস্য; যার ফলে তার নোটিশে বিভিন্ন
মিটিং-এ অংশগ্রহণ করেছি এবং রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছি। এটা যদি জালিয়াতি হয়ে থাকে, সে জালিয়াতি করেছেন অধ্যক্ষ এবং তার দ্বায়ভার তাকেই বহন করতে হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post