যমুনার তীব্র স্রোতে ক্রমাগত ভাঙনের থাবা আর শ্রতের পাকের আবর্তে জলের অতলে ডুবে যাওয়া কৃষিজমি সবুজ সুন্দর গ্রামের স্থানীয় রাস্তা-ঘাট,দোকান-পাট, বাজার, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-মাদ্রাসা, এ এসবই এখন হতদরিদ্র লাইলি বেগমের স্মৃতি হয়ে চোখ দুটি ঘুন পোকার মত কামরিয়ে খাচ্ছে। শতচেষ্টা করেও কোন কিছু তেই ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ মিলছে না, তাই হতাশায় নদী তীরবর্তী শত শত মানুষ।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর ) টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের
মাটিকাটা পাটিতা পরার নদী তীরবর্তী লাইলী বেগম ও মজনু মিয়া জানান, ভাঙন রোধে উপজেলার দুই ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিওব্যাগ ফেলা হলেও মাঝখানে কিছু অংশ ফাঁকা রয়েছে। সেই ফাঁকা স্থানে পানির চাপ বেশি
পড়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৪ আগষ্ট ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক
মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। পরে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও এখন পর্যন্ত ভাঙনরোধে কোন প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছি এবং
জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে বিধায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার বলা সত্বেও তারা ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
তিনি আরও জানান, ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলার জন্য কেউ যদি টাকা চায় বা নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান,সম্প্রতি যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে নিকরাইল ও মাটিকাটা ইউনিয়নে ভাঙনরোধে কয়েক দফায় ৮:৫ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে দ্রুত স্থায়ী বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/