ভেড়ামারা প্রতিনিধি – ভেড়ামারার প্রায় টিকাদান কেন্দ্রে পুরুষ মহিলা একই বুথে একই টেবিলে একত্রে টিকা দেয়ার ব্যবস্হা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহিলাগণ। পৃথক পৃথক রুম বা পর্দার ব্যবস্হা থাকলে মা বোনদের কে লজ্জায় পড়তে হতোনা। অপরদিকে কাউকে দাঁড়িয়ে কাউকে বসেও টিকা নিতে দেখা যায়।
ভেড়ামারা মহিলা কলেজের একটি টিকার বুথে ছেলে মেয়ে একত্রে টিকা দেয়ায় পর্দার কোন ব্যবস্হা না থাকায় লজ্জা পেয়েও শত শত পুরুষের মাঝেই এভাবে টিকা নিতে হচ্ছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউন্সিলর ফারুক সাহেব কে পুরুষ মহিলা আলাদা করার কথা বললে সে জানায় লোকবল নেই তাই এছাড়া উপায় নেই। পূর্নিমা নামে এক মহিলা বলেন এভাবে সবার সামনে প্রকাশ্য টিকা নেয়া লজ্জাকর।
ভেড়ামারার প্রায় টিকাদান কেন্দ্রে পুরুষ মহিলা একই বুথে একই টেবিলে একত্রে টিকা দেয়ায় ব্যবস্হা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহিলাগণ। পৃথক পৃথক রুম বা পর্দার ব্যবস্হা থাকলে মা বোনদের কে লজ্জায় পড়তে হতোনা। বিষয় টি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার কে জানানোর পর তার হস্তক্ষেপে অনেক টা শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। সুফিয়া নামের একজন পৌরবাসী মহিলা জানান পৌর মেয়র যদি মহিলা এবং পুরুষ দের আলাদা আলাদা রুম করতো তাহলে আজ অসংখ্য পুরুষের সামনে আমাদের এভাবে লজ্জিত হতে হতোনা।
এবিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেন, কোন সুযোগ নেই এভাবে টিকা নেয়ার। আমরা অভিযোগ পাওয়া মাত্র পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
পৌর মেয়র এর মোবাইল নম্বর বিজি এবং কল ওয়েটিং থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কয়েকটি পৌর কাউন্সিলর সাথে এটা নিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন। পৌর মেয়র এসব নিয়ে আমাদের সাথে বসে দিকনির্দেশনা ঠিক করলে এমন হতো না।
পৌর কাউন্সিলর সোলাইমান মাষ্টার জানান আমার বুথে আমি এসে এইমাত্র একজন একজন করে ঢোকার ব্যবস্হা করলাম। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।
সর্বপুরি মহিলারা জীবন বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে লজ্জা ত্যাগ করে এভাবেই প্রকাশ্য পুরুষদের সামনে টিকা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে সকল কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। মানুষের মাঝে টিকা নেয়ার ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়। টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক। করোনা মুক্ত সোনার বাংলা হোক।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post