কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় সরকারি রাস্তার জমি দখল করে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে মৃত রশিক লস্কর এর পূত্র মোঃ মজিবর লস্কর নামে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মোঃ পুনা এর পুত্র মোঃ শিহাবুল ইসলাম শিহাব সরকারি রাস্তার জমি দখল করে সেখানে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ মজিবর লস্কর নামে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে সরকারি জমি বেদখলের পাশাপাশি রাস্তায় মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরকারি জমি থেকে এ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
মজিবর লস্কর জানান, সরকারী উক্ত রাস্তাটি আমি সহ স্থানীয় লোকজন ব্যবহার করে আসছি প্রায় ৫০ বছর পূর্ব থেকে। শিহাব তার পেশীশক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় লোকজনের ভোগান্তি দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ সহ সব সময় শাসিয়ে আসছে। শিহাবের সাথে বারবার সমাধানের জন্য বসলেও সমাধান না করে পূর্বের ন্যায় আরো উগ্র ও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এখনো তার নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে।
সরকারি জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে শিহাবুল ইসলাম শিহাব বলেন, জুনিয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান, পরিষদের ১২ জন মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন সরেজমিনে উপস্থিত থেকে তারা দেখে গেছেন। সে অনুযায়ী আমি আমার ব্যক্তিগত জমিতে নির্মাণকাজ করছি। নিউজটি লিখার পূর্ব মূহুর্তে এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তার ফোন রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, আমি ও আমার ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। গিয়ে যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হলো ইউএনও বরাবর অভিযোগ কারী মজিবর লস্কর গত বার জুনিয়াদহ ইউপির মেম্বার পদে নির্বাচন করে হেরে যায়। এসময় শিহাবুল ইসলাম শিহাব সে মজিবর লস্করের পক্ষে নির্বাচন না করলে সেই থেকে একটা গেঞ্জাম এর সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে। এই রাগ থেকেই মজিবর লস্কর ভ্যানচালক শিহাবের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে ইউএনও বরাবর।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,২৮ মার্চ ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post