সিলেটের কোম্পানীগন্জের ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাটে ভারতীয় পন্যের আধিক্য থাকলেও বাংলাদেশী ষ্টলে নামমাত্র পন্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে ভারতীয় ষ্টলে
ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন ভারতীয় বিক্রেতারা। শুধু তাই নয় ভারতীয় বিক্রেতারা বাংলাদেশী ক্রেতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে।
দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে জয়েন কমিউনিক অনুযায়ী উভয় দেশের সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ওই বছরেই শেষ করা হয়েছিল নির্মাণ কাজ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বর্ডার হাট উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে বর্ডার হাট চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে চলতি বছরের ৬ মে উদ্বোধন হয় হাটটি। শুরুতে বিপুল আগ্রহ নিয়ে ও নিয়ম মেনে হাট চললেও এখন আর তা হচ্ছে না।
বর্ডার হাট ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া বলেন, ভারতীয় বিক্রেতাদের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল বিক্রি হলেও আমাদের ক্রেতা নাই। ভারতীয় ক্রেতারা বাজারে আসেন না। তাদেরকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়না। নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান নোমান জানান, বাংলাদেশী বিক্রেতারা দোকান খোলে খরচের টাকা বিক্রি করতে পারে না। ভারতীয় ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো মালামাল না পাওয়ায় বাজারে আসেন না। আমরা বাজার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন স্থানীয় উৎপাদিত দু-একটি পণ্য ভারতীয়রা নিতে চাইলে তাদের কাস্টমস বাধা দিচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আমার জানা নাই। খোঁজ নিচ্ছি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১২ নভেম্বর ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post