নাজিবুল বাশার, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
ন্যায্য মূল্যের সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে থেকে সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে তরতাজা সবজি সরবরাহ করে আসছে।
মধুপুর স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে বিক্রয় কেন্দ্রটি পরিচালিত হচ্ছে।
যাতে বিক্রয় কেন্দ্রে ভোক্তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের বাড়তি মূল্য পরিশোধ ছাড়াই সরাসরি সাশ্রয়ী দামে সবজি কিনতে পারেন।
এ ব্যাতিক্রম উদ্যোগে এগিয়ে আসেন মধুপুরের ছাত্র সমাজ।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ব্যাপক সারা ফেলেছে স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের সবজি বিক্রয় কেন্দ্র। এ রকম একটি ব্যাতিক্রমি উদ্যোগে ক্রেতার ভীড় দিনদিন বেড়েই চলছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মধুপুরের সকল পেশাজীবি ও সাধারণ জনগণ।
২৭ অক্টোবর সোমবার থেকে ৩১ অক্টোবর চলমান সকালে মধুপুর বংশাই নদীর ব্রিজ পাড়ে মধুপুর স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে পরিচালিত এ ন্যায্য মূল্যের বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে।
বিক্রয় কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিফাত আনজুম পিয়া। বিক্রয় কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সাধারণ ক্রেতারা। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের মানুষ খুঁজে পেয়েছে ভরসার ঠিকানা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্ষন্ত চলছে বেচাকেনা।
১৭১ সদস্য বিশিষ্ট মধুপুর স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রসমাজের আহবায়ক আইইউবিএটি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শিশির জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা বাজারসহ সকল বাজারদর অস্থিরতায় রয়েছে। সার্বিক সহযোগীতায় রয়েছে আশরাফুল ইসলাম মারুফ রোভার স্কাউট লিডার ও সম্পাদক মধুপুর ওপেন রোভার স্কাউট গ্রুপ এবং আমিনুর রহমান আলোকিত মধুপুরের এডমিন। এ দূরাবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের এ উদ্যোগ। আমরা ১৩/১৪ রকমের টাটকা শাক সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনী পন্য ন্যায্য মূলে বিক্রি করছি।
তিনি আরো জানান, আমাদের এখানে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে-আলু-৫৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ-১০৮ টাকা কেজি, বেগুন-৫০ টাকা কেজি, লাউ-৩০ টাকা প্রতি পিচ (ছাট) বড় লাউ প্রতি পিচ-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ-১২০ টাকা, ডিম হালি-৪৭ টাকা, শসা-৪৫ টাকা কেজি, ফুল কপি-৫৫ টাকা কেজি, করলা-৭৫ টাকা কেজি, ডোবলা বেগুন-৬০ টাকা কেজি, মূলা-২৫ টাকা প্রতি আটি, মিস্টি কুমড়া-৫০ টাকা কেজি, লেবু প্রতি পিচ-২ টাকা, সরিষার তেল প্রতি লিটার-২২০ টাকা, সয়বিন তেল প্রতি লিটার-১৬৭ টাকা তেলসহ সকল সবজি পাওয়া যাচ্ছে। লবন, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যদিনের পণ্য ন্যয্য মূলে টাটকা শাকসবজি বিক্রি করছি। যা এ এলাকার বাজার দরের চেয়েও অনেক কম। সল্প মূল্যে ক্রেতারা ক্রয় করার জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরছে।
মধুপুর স্বেচ্ছাসেবী ছাত্র সমাজের পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম দিকে এ বিক্রয় কেন্দ্রেটি ভেবেছিলাম এক সপ্তাহ চালাবো। কিন্তু যেভাবে সাধারণ জনগণ যেভাবে উপচে পড়া ভীড় জমাচ্ছে তাতে মনে হয়ে আরো কিছুদিন বাড়ানো হতে পারে বলে মন্তব্য করেন আহ্বায়ক ও সহযোগীকর্মীবৃন্দ।

Discussion about this post