নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কের মন্ডল তেল পাম্প ষ্টেশন থেকে মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ের মাঝখানে কয়েকটি স্থানে নিয়মিত ময়লা ফেলা হচ্ছে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফেলা এই বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয়রা। জমানো বর্জ্যরে কারণে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হচ্ছে মহাসড়কও।
পৌর কর্তৃপক্ষ এসব বর্জ্য অপসারণে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছেনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারও যানবাহন চলাচল করে থাকে। অথচ সড়কের এ অংশ এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী অংশেও সড়কের দুই পাশে একইভাবে প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
ঢাকা রোড নামের কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুষ্টিয়া প্রান্তে দীর্ঘদিন জমে আছে বিশাল ময়লার স্তুপ। দূর থেকে বস্তা ভরে এনে সহজেই সড়কের পাশে ময়লা ফেলে রেখে যাচ্ছে মানুষ। এমনকি মরা পশুও ফেলে রাখা হচ্ছে অঘোষিত এই ভাগাড়ে।
এয়লা-আবর্জনার পঁচা উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। আর সড়কে চলাচলকারীদের জন্য দুর্গন্ধের এই জায়গাটি পার হওয়াই যেন দুষ্কর। মহাসড়কের পাশেই ময়লার স্তুপ,পানি জমে ক্ষতি হচ্ছে সড়কের। সে কারণেই ময়লা গড়িয়েই খালে ফেলছে সড়ক বিভাগ।
ময়লার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সমস্যার কোন সমাধান হয়নি, বরং দুর্গন্ধ আরও বেড়েছে। আর নিষ্কাশন খাল ভরাট হওয়ার আশঙ্কা করছে কুষ্টিয়া পৌরসভা।
এদিকে ময়লা না ফেলার জন্য সাইন বোর্ড লাগানো হলেও এখনো বিক্ষিপ্তভাবে বস্তাভর্তি ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে সড়কের বিভিন্ন জায়গায়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা ছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে দুর্গন্ধে প্রতিদিনই তাঁদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
সরজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, আঞ্চলিক এই মহাসড়কের মন্ডল তেল পাম্প থেকে মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ের মাঝখানে কয়েকটি অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশের এলাকাজুড়ে এখন বর্জ্যরে স্তুপ রয়েছে। পরিত্যক্ত প্লাাস্টিকের বোতল, কার্টুন, কর্কশিট, কাগজ, পলিথিন, বস্তা, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণী মারা গেলে এই মহাসড়কের পাশেই ফেলে যান অনেকেই। শুধু তাই নয়, ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, উচ্ছিষ্ট খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে স্তুপাকারে রয়েছে এখানে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি সৌন্দর্যও বিনষ্ট হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
কুষ্টিয়া জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে বসা হয়েছে। কিন্তু এ সমস্যার কোন সুরহা হয়নি। আবর্জনা ফেলে স্থানটি নোংরা করে ফেলা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পৌরসভা এক সময় এখানে ময়লা ফেলতো। তবে দুই-তিন বছর হল পৌরসভা আর এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে না। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা এখন সাইবেরিয়া বিলের মধ্যে পৌরসভার নির্ধারিত ভাগাড়ে ফেলা হয়ে থাকে। ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য সাইনবোর্ড টাঙানো থাকলেও পাবলিক, কল-কারখানা, হাসপাতাল-ক্লিনিক এমনকি চামড়া পট্রির ময়লা-আবর্জনাও এখানে ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পৌরসভার পানি নিষ্কাশন খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন ভরাট হয়ে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post