ঘটনা তদন্ত না করেই মামলা রেকর্ড করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনীর ধর্মচাকী গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক রুবেল হোসেন। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দেয়ায় ওসি মামলাটি রেকর্ড করেন। এতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে মাসুদুর রহমানের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন। বিবাদমান জমিতে রয়েছে বাঁশ বাগান। মামলা চলমান থাকায় ওই জমিতে কেউ ভোগ দখল নিতে যান না। হঠাৎ মাসুদুর রহমান ১২ ডিসেম্বর গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। যার তদন্তভার দেয়া হয় এস,আই আতিকুর রহমানকে। তিনি কোন তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন দাখিল করলে ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেন যার নং-১৫ তাং-১২-১২-২৩ ইং।
মামলায় একজনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়। এজাহারে ৬০ টি বাঁশ কেটে নেয়া ছাড়াও এক লক্ষ টাকা তছরুপের ঘটনা উল্লেখ করা হয় যা সম্পর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন রুবেল হোসেন। এতে বাদী নিরাপত্তাহীনতা ছাড়াও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলন ও সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা মেলেনি। সেই সাথে গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ বাঁশ কাটার কথা জানেন না এবং বাঁশ কাটা ও তছরুপের আলামত পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিবাদী কোন দোষী না হলে মামলা থেকে বাদ দেয়া হবে। তাছাড়া ওসি সাহেব মামলাটি রেকর্ড করেছেন। এখানে তার কোন হাত নেই।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন সাপেক্ষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখন কিছুই করার নেই।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post