মারফত আফ্রিদী, মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া গ্রামে গত রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১ জন কর্মী নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল হতে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হামলায় আহত বুরাপাড়া গ্রামের নওশের মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা মৃত্যবরণ করে।
স্কুল কমিটির ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এ সংঘর্ষে হামলায় জামায়াতের ৩৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন এবং স্থানীয় জামায়াত কর্মীদের ঘর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম ও সেক্রেটারী অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার এ বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তারা অতি সত্তর গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জাসদ নেতা নাসির নব্য বিএনপি সেজে জোরপূর্বক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সরিয়ে দিয়ে নিজে সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর নাসিম রেজা মুকুলকে ভয় ও হুমকি দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং ১১ তারিখ রাতে নাসির বাহিনী জামায়াত কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এর প্রেক্ষিতে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষের ব্যক্তিবর্গ নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে একটি সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করেন।
জামায়াত কর্মীরা উক্ত বৈঠকের জন্য স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়া মাত্রই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নাসির এবং তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামায়াত কর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অনেককে গুরুতর আহত এবং হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ খোকন মোল্লা (৩২) নামে একজন কর্মী শাহাদাত বরন করেন। মিরপুর উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সাথে সাথে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Discussion about this post