মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলাকে ভুমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার ( ৯আগস্ট) ভিডিও কনফারেন্সে তিনি মির্জাপুর উপজেলাকে গৃহহীন-ভুমিহীন মুক্ত ঘোষনা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ভুমিহীন-গৃহহীন অসহায় ৪৮৩ পরিবার। আজ বুধবার সর্বশেষ ৬৪ জন উপকারভোগির মাঝে দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উৎসব মুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় টাঙ্গাইল জেলা শাখার উপপরিচালক শামীম আরা রিমি, উপজেলাা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, পৌরসভার মেয়র সালাম আক্তার শিমুল, এসিল্যান্ড সুচী রানী সাহা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামিমা আক্তার শিফা ও মো. আজাহারুল ইসলামসহ গন্যমান্য ব্যক্তি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং বিনামুল্যে জমিহ পাকাঘর পাওয়া উপকারভোগি পরিবার।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচী রানী সাহা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে ও চতুর্থ ধাপে ৪৮৩ জন অসহায় দরিদ্র পরিবারকে মাথা গোজার মত দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর এবং সার্বিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যাদের জমি ও ঘর নেই গৃহ নির্মান কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ৪৮৩ জন অসহায় ভুমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বিনামুল্যে দুই শতক জমি, একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মান ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। নলকুপের পানি, টিউওবয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, ভাওড়া, লতিফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, ওয়ার্শি ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৪৮৩ জন গৃহহীন পরিবারকে জমি ও পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন এসব অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ন কেন্দ্রে খুব ভাল ভাবেই আছেন।
আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগিদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, জমি ও একটি ঘরের অভাবে রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানের মধ্যে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর কেউ রাখেননি। আমাদের মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জমি, পাকা ঘর, ঘরে বিদ্যুৎ, পাকা টয়লেট তৈরী করে দিয়েছেন। ঘরের পাশে পতিত জমিতে সবজি রোপন করেছি। আমাদের সন্তানেরা এখন পড়ালেখা করছে। সারা জীবন আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন আর আমাদের কষ্ট করতে হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীন-গৃহহীনদের সঠিক ভাবে তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মানসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা এখন ভুমিহীন-গৃহীন মুক্ত। মামনীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা করলেন। তবে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বরে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, আমাদের মানবতার মা হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪৮৩ জন ভুমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সম্মনয় করে সুষ্ঠুভাবে জমি ও ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন এটাই মুজিব বর্ষে তার অঙ্গিকার।

Discussion about this post