নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১০ নং গোড়াই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থীর নৌকার নির্বাচনী অফিসে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তরা নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ হুমায়ুর কবীরের ছোট ভাই মো. শওকত হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার গোড়াই ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সবাপতি মো. আব্দুর হামিদ ও সাধারন সম্পাদক সাকাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ হুমায়ুন কবীরের নির্বাচনী অফিস রহিমপুর এলাকায় স্থাপন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ অফিস পুড়িয়ে দেয়। নির্বাচনে গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার পারভেজ শাহআলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিব্দন্ধিতা করছেন। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী এই অফিসটি তারে বাড়ির পাশে। তাদরে ধারনা বিএনপি সমর্থিত লোকজন রাতের আধারে অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনোয়ার পারভেজ শাহআলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কর্মীরা এলাকায় গনসংযোগ ও ভোট চাইতে যেতে পারছে না ভয়ে। তাহলে কি ভাবে আওয়ামীলীগের অফিস পুড়িয়ে দিবে। এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবী করেন।
আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তা নষ্ঠ করার জন্য প্রতিপক্ষ ও তার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবিসহ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া বিভিণœ এলাকায় আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলে দিচ্ছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে তার ছোট ভাই মো. শওকত হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানান
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখ দিপু এবং সেকেন্ড অফিসার মো. রুবেল হোসেন বলেন, ঘটনার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হবে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Discussion about this post