নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৫ জুন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ফতেপুর, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, আজগানা ও তরফপুর এই ছয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারনার শেষ দিনে প্রতিটি এলকায় উৎসব মুখর পরিবেশে প্রার্থীদের বিশাল শোডাউন হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার প্রার্থী এবং সাধারন আসনে পুরুষ মেম্বার প্রার্থীগনও কর্মী সমর্থক নিয়ে শোডাউন করেছেন। ফতেপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আফসার উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে বিশাল শোডাউন করে ভোটারদের চমক দেখিয়েছেন। তার ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং গ্রামে গ্রামে মোটর সাইকেল ও পিকআপ ভর্তি কর্মী সমর্থক নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশা করছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, ছয় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ৫৯ জন এবং সাধারন আসন পুরুষ মেম্বার পদে ১৮৬ জনসহ ২৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ফতেপুর ইউনিয়নে এবার চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আফসার উদ্দিন (ঘোড়া), আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রউফ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন তালুকদার (মোটর সাইকেল) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন আহমেদ ফিরোজ (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রউফ ও তাঁর ছেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন তালুকদারের ছোট ভাই যুবলীগের নেতা তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার টিটুকে মারধরে ঘটনায় নৌকার প্রার্থী পরেছেন আব্দুর রউফ চাপের মুখে পরেছেন। আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী নিরব ভূমিকা পালন করায় তিনি বেশ হতাশায় পরেছেন। তারপরও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনার পর টিটু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনার পর দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ইউনিয়নে এলাকা ভিত্তিক নির্বাচন হওয়ায়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ূন তালুকদার (মোটর সাইকেল) ও মো.আফছার উদ্দিন সিকদার ভেন্ডার(ঘোড়া) এই দ্ইু প্রার্থীর মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে। ফতেপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৭ হাজার ৯শত ২৬ জন।
এ ব্যাপারে আসসার উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় কাজ করে আসছি। আমি সাধারন জনগনের মনোনীত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রতিটি এলাকায় আমার কর্মী সমর্থক ও ভোটার রয়েছে। আমি আশা করছি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হতে পারবো।
মির্জাপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফা বেগম বলেন, ছয় ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হবে। ১২৩২ জন ভোট গ্রহন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তাদরে প্রশিক্ষক নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post