মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: যশোর থেকে প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রেমিকের বাড়িতে আমরন অনশন শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে অনশন করলেও কোন কুলকিনারা হয়নী প্রেমিকা দুই সন্তানের জননীর। প্রেমিকের বাড়ির লোকজন বাড়িতে তালা ঝুঁলিয়ে সটকে পরেছে। এই ঘটনাটি এলাকায় টক অব দা টাউনে পরিনত হয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানায়, ঐ গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে বুলবুলের বাড়িতে প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী মুক্তা বেগম (৪০) বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। মুক্তা বেগমের স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম। বাড়ি যশোর জেলায়। তাদের সংসারে ১১ বছরের এক কন্যা এবং নয় বছরের এক পুত্র রয়েছে। মুক্তা পেশায় পোষাক শ্রমিক। থাকতেন কখানো চন্দ্রা, কখানো কোনাবাড়ি, কখনো মৌচাক এবং কখনো সাভারে। গত দেড় বছর পুর্বে মোবাইলে রং নম্বরের সুত্রধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত এক মাস পুর্বে মুক্তা প্রেমিকের খুঁজে বুলবুলদের বাড়িতে উঠে বসে। স্থানীয় পুলিশ এবং মাতাব্বরদের হস্তক্ষেপে বুলবুলের পরিবার থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে মুক্তা বাড়ি চলে যায়। বাড়ি গিয়ে পুর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই সন্তান রেখে গত ১৩ এপ্রিল আবার মুক্তা প্রেমিক বুলবুলেল বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে বুলবুল ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা ঝুঁলিয়ে সটকে পরে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রেমিকা মুক্তা বেগম প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলেও প্রশাসন থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে মুক্তা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে আমি পুর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে ও দুই সন্তান রেখে চলে এসেছি। বুলবুল ও তার পরিবার আমাকে গ্রহন না করলে আত্নহত্যা ছাড়া আমার কোন পথ নেই।
এ ব্যাপারে প্রেমিক বুলবুল ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বাড়িতে তালা থাকায় কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ১০ নং বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন দেওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন পুর্বে ওই নারী বুলবুলদের বাড়িতে এসেছিল। এলাকার লোকজন এবং পুলিশের সহযোগিতায় টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিল। এখন জানতে পেরেছি ওই নারী আবার বুলবুলদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাকাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছেলে এবং নারী পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post