মির্জাপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টাানিং অফিসার শাকিলা বিনতে মতিনের নিকট থেকে তার পক্ষে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান সিদ্দিকী, আওয়ামীলীগ নেতা মীর চঞ্চল মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও তার পুত্র খান আহমেদ শুভ এমপি ও তার অনুসারীরা পরিকল্পিত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও তার বড় ভাই মীর দৌলত হোসেন বিদ্যুৎকে কমিটি থেকে বাদ দিয়েছেন।
এরই জের ধরে গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর বড়চালা গ্রামে বাউল সংগীত উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান এমপি শুভকে উদ্দেশ্য করে বলেন, টাঙ্গাইল হঠাও, মির্জাপুর বাঁচাও। এমপি শুভ এলাকায় থাকেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চার বারের এমপি প্রয়াত একাব্বর হোসেনের মৃত্যুর পর মিথ্যা প্রলোভন ও টাকার বিনিময়ে উপনির্বাচনে তিনি এমপি হয়েছেন। এমপি হওয়ার পর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। জনগনের সার্থে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
স্থানীয়রা বলছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিন বার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন।
উপজেলার গোড়াই, আজগানা, বাঁশতৈল, তরফপুর ও লতিফপুর হচ্ছে লাল মাটির পাহাড়ী এলাকা। এই এলাকা থেকে তিনিই প্রথম নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা দেন। লাল মাটির সন্তান হিসেবে তাকে নির্বাচিত করতে পাহাড় বাসীকে এক হওয়ার আহবান জানান । তিনি আরো বলেন, খান আহমেদ শুভ এমপি বাদে অন্য যে কেউ মনোনয়ন পেলে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হবেন না।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু একজন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ও আট বারের চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত দ্বন্ধ নেই। তিনি আমার ও মির্জাপুর বাসির একজন অভিভাবক। আমি তাকে সম্মান করি। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক এই আসনের প্রথম গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা, আমার দাদা ও বাবার বাড়ির উপজেলার ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার যোগ্যতায় গত উপনির্বাচনে এই আসনে মনোয়ন দিয়েছিলেন। দুই বছরের সময়কালে আমি সততার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এমন কোন কাজ করিনি যে কারণে আমাকে কেউ সন্ত্রাসী বলতে পারবে। দলের কাছে পুনরায় মনোনয়ন চেয়েছি। মনোয়ন দিলে নির্বাচন করবো। না দিলে যাকে মনোনয়ন দিবে তার হয়ে কাজ করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। বিএনপি নির্বাচনে এলে এক ধরনের নির্বাচন। আর বিএনপি না এলে অন্য ধরনের নির্বাচন হবে। কাজেই দল যে ভাবে নির্দেশনা দিবে সেই ভাবেই নির্বাচন হবে। কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//নভেম্বর ২৩,২০২৩//

Discussion about this post