টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধের গনকবর স্থানে (সামাজিক কবরস্থানে) আন্ডার পাস নির্মান ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে মানব বন্ধন এবং প্রতিবাদ কর্মসুচী পালিত হয়েছে। আজ বুধবার মির্জাপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকার গোড়ান-সাটিয়াচড়া নামক স্থানে ঘন্টা ব্যাপি এ কর্মসুচী পালিত হয়। মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছাড়াও কয়েকটি গ্রামের সহ¯্রাধিক নারী পুরুষ মানব বন্ধনে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহন করে। মানব শেষে উক্ত স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্ডার পাস নির্মান ও নিরাপদ সড়কের দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির টাঙ্গাইল জেলা শাখা ও মির্জাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি কমরেড মো. গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, দুই নং জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, জামুর্কি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মো. ইলিয়াজ আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ডি এ মতিন, গোড়ান-সাটিয়াচড়া গনকবর (সামাজিক কবরস্থান) কমিটির আহবায়ক মোকছেদ আলী, ইউপি মেম্বার মো. সেলিম মিয়া এবং বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন ও প্রমুখ।
মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া, লিমা এবং দশম শ্রেণীর ছাত্রী রিপ্তি ও শান্ত রাজবংশী অভিযোগ করে, গনকবর স্থানের দুই পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্ের, সাটিয়াচড়া ছাবদার আলী কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদসহ পাকুল্যা বাজার রয়েছে। স্থানটি গুরুত্বপুর্ন হলেও এখানে আন্ডার পাস নির্মান না করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের বুকের সামনে বিভিন্ন প্লাকার্ডে লেখা ছিল মৃত্যু নয়, আন্ডার পাস চাই, নিরাপদ সড়ক দাও, বাঁচার মত বাঁচতে দাও, আমরা বাঁতে চাই, সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে এখানে আন্ডার পাস নির্মান চাই। তারা আরও জানিয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র সংলগ্ন গোড়ান-সাটিয়াচড়া গনকবর স্থানে আন্ডার পাস নির্মান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলনসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করে যাবো।
এলাকাবাসির মধ্যে মিনহাজ ইদ্দন, আজগর আলী ও ইমরান চৌধূরীসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এখানে আন্ডার পাস নির্মান না হওয়ায় লাশ নিয়ে কবরস্থানে দাফন করতে ডেতে পারছি না। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার লোকজন যাতায়াত হতে পারছেন না।এখানে আন্ডার পাস নির্মানের জন্য কর্তৃপক্ষ বার বার অনুরোধ করা হলেও তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তারা গোরস্থানে লাশ দাফনসহ চলাচল করতে পারছেন না। গত ৬ মাসের ব্যবধানে শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ ১১ জন নারী পুরুষ রাস্তা পার হতে গিয়ে নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন গোড়ান গ্রামের এস এম আরিফ হোসেন, সাটিয়াচড়া গ্রামের মুনতাজ মিয়া, পাকুল্যা গ্রামের জিকু সিকদার, শাজাহান মিয়া ও সাইমসহ ১১ জন।
এ ব্যাপারে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু ফোর লাইন (একসেস রোড নির্মানকারী) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ( পিডি ) মো. আবু ইসহাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই রোডে কাজ চলমান রয়েছে। যে সব এলাকায় আন্ডার পাস নির্মান ও অভার ব্রিজ প্রয়োজন এগুলোর তালিকা ও অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে জানানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে কাজ করা হবে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post