মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সদরে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনের অংশ ও ফুটপাত বেদখল হয়ে অবৈধ দোকান পাট নির্মান হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহলের যোগ সাজসে অবৈধ দোকান পাট নির্মানের ফলে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং পুরো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারন জনগনের মধ্যে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শুক্রবার উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্র জানায়, সরকারী নির্দেশনা ও স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেন এমপির প্রচেষ্টায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা সদরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর পুরাতন বাস স্টেশন সংলগ্ন চার রাস্তা মোডে ৮ শতাংশ জমির উপর কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
নির্মান করা হয়। নির্মানের পর ২০২০ সালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভবন বুঝিয়ে দেন। এরপর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নানা কারুকাজ এবং ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি নির্মান করা হয়। এখানে একটি শহীদ মিনার নির্মান প্রক্রিয়াধীন বলেও জানা গেছে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পশ্চিম ও দক্ষিন পাশের অংশ ও ফুটপাত দখল করে একটি মহল দোকানপাট নির্মান করে দেদারসে অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কমপ্লেক্সের সামনের অংশ ও ফুটপাত অবৈধ ভাবে দখল হওয়ায় জাতির জনকের প্রতিকৃতি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান এবং সাধারন জনগনের মাঝে ক্ষোবের সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আশপাশ ও সামনের অংশ থেকে অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের চার পাশের জমি সরকারী সম্পত্তি ও সরকারী রাস্তা। কিছু দিন পুর্বে অভিযান চালিয়ে অধৈ দোকান পাট ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। যারা আবার অবৈধ ভাবে দখল করে ব্যবসা করছেন, পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ও ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র যেন সৌন্দর্যা নষ্ট না হয় জেন্য অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না বসানোর জন্য একাধিকবার লোকজনদের অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post