মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শিক্ষক, চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের তিন নারী চিকিৎসক এবং সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর এক সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং হাসপাতালে আতংক দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে মির্জাপুর উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মির্জাপুর সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর পরিসংখ্যানবিদ মো. মৃদুলুর রহমান জানান, আজ বুধবার ১৩ জন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তাদের মধ্যে ৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিপ আসে। করোনায় আক্রান্তরা হলেন, ভাতগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কনিকা সরকার, তার স্বামী ও বাগজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার সরকার, সরিষাদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃত্তিকা সরকার, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের তিন নারী চিকিৎসক ডা. তালাত, ডা. ডালিয়া, ডা. হিরা এবং উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সিনিয়র স্টাফ নার্স শিরিন আক্তার।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১০ জন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অপিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, তিনজন শিক্ষকের করোনা পজিটিপ হওয়ার খবর তারা জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্ময় করে করোনা প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনা এবং জনগনকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করা হচ্ছে।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post