Print Date & Time : 22 August 2025 Friday 12:28 pm

মির্জাপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দাবিতে ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন উপদেষ্টা পরিষদ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাগন উপস্থিত ছিলেন।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করেন, মির্জাপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকগন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অভিভাবকক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সমন্ময় করে সুষ্ঠু ভাবে পাঠদান পরিচালনা করে আসছে।
গত ৫ আগস্ট-২০২৪ ইং সরকার পরিবর্তনের পর মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, গেরামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়, দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ভাওড়া মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং মির্জাপুর মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একটি মহল বিদ্যালয়ে ভাংচুর ও পদত্যাগের হুমকিসহ সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে প্রধান শিক্ষকগন বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন ভাবে পাঠদানের লক্ষে অন্তবর্তীকালিন সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ নির্দেশ দিয়েছেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অন্যায় ভাবে বলপ্রয়োগ করে পদত্যাগ করানো যাবে না। বিষয়টি প্রভাবশালী মহলটি আমলে না নিয়ে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যায় ভাবে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের জোরপুর্বক বিদ্যালয় থেকে বের দিচ্ছে যা একজন শিক্ষক হিসেবে কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ইউএনওকে উল্লেখ করে বলেন, আপনি আমাদের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং আমাদের অভিভাবক। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে নিয়মিত পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে আসতে পারে এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।

প্রশাসন থেকে যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে মির্জাপুর উপজেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কলেজে একযোগে পাঠদান কায়ক্রম বন্ধ করে দিয়ে আমরা আপনার কার্যালয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণ করবো। এ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। মির্জাপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারীর নিরাপত্তাসহ তারা যাতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্তবর্তীকালিন উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন, খোরশেদ আলম, মো. আমজাদ হোসেন, মোশারফ হোসেন, জাকির হোসেন, কামরুল হাসান, শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাদেক আলী মিয়া, হাবিবুর রহমান, সুলতান উদ্দিন, আব্দুল আলীম, জাকির হোসেন মল্লিকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।