নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশাই নদীর ফতেপুর ইউনিয়নের হাট ফতেপুর বাজার ও হাট ফতেপুর উ”চ বিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রক্ষায় ৬০ ফুট গাইড বাঁধ হঠাৎ ধ্বসে পরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১৬৫ মিটার গাইড বাঁধের মধ্যে রাতের আধাঁরে ৬০ ফুট গাইড বাঁধ ধ্বসে যাওয়ায় হুমকির মুখে বিভিন্ন ¯’াপনা। এলাকায় তীব্র আতংক দেখা দিয়েছে। জরুরী ব্যব¯’া গ্রহন না করা হলে দুই এক দিনের মধ্যে পুরো এলাকা নদীতে বিলিন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর রাতে হাট ফতেপুর উ”চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটেছে।
হাট ফতেপুর উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন জানান, বংশাই নদীর সন্নিকটে হাট ফতেপুর উ”চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ. হাট ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ, স্বা¯’্য উপকেন্দ্র, ইউনিয়ন ভুমি অফিস, মির্জাপুর-বাসাইল রাস্তা, ফতেপুর-মহেড়া-মির্জাপুর রাস্তাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এবং হাট ফতেপুর হাট ও বাজার রয়েছে। প্রমত্তা ও করালগ্রাসী বংশাই নদীর ভাঙ্গনে পুরো এলাকা হুমিকর মুখে। এলাকাবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে ¯’ানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মো. একাব্বর হোসেন এমপির সহযোগিতায় ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে ১৬৫ মিটার গাইড বাঁধ নির্মান করেন। গাইড বাঁধ নির্মান হলেও প্রতি বছর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন চরম দুমকির মুখে। আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর রাতে বাজার ও স্কুল রক্ষা গাইড বাঁধের প্রায় ৬০ ফুট হঠাৎ ধ্বসে গেছে। দ্রুত ব্যব¯’া গ্রহন না করা হলে দুই এক দিনের মধ্যে পুরো গাইড বাঁধ নদীতে চলে যাবে। তীব্র নদী ভাঙ্গন ও গাইড বাঁধ ধ্বসে যাওয়া অংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে। জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন।
এ ব্যাপারে হাট ফতেপুর উ”চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল গফুর সিকদার এবং হাট ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, গাইড বাঁধ ধ্বসে যাওয়ায় কোমল মতি শিক্ষার্থসহ এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে হাট-বাজার, একাধিক প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। বিষয়টির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফতেপুর এলাকায় বংশাই নদীর গাইড বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মির্জাপুর উপজেলার হাট ফতেপুর বাজার ও স্কুল রক্ষার জন্য বংশাই নদীর পাড়ের গাইড বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। খবর পাওয়ার পর পরই একজন সহকারী প্রকৌশলী ক্ষতিগ্র¯’্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ব্যব¯’া নেওয়া হবে।
Discussion about this post