বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার জগতি নামক স্থানে এই শিল্প কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। যা মূল কুষ্টিয়া শহর হতে ৮ কি: মি: দূরে।
১৯৬১ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৯৬৫ সালে সমাপ্ত হয় এবং ১৯৬৫-৬৬ সাল থেকে এটি চিনি উৎপাদন শুরু করে। এছাড়াও চিটাগুড়,ব্যাগাস, প্রেসমাড এখানে উৎপাদিত হত।স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।
এই বৃহদায়তন শিল্প-কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, বাণিজ্যিক খামার ও জৈব সারকারখানা এবং অফিস ও আবাসন ভবনের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে চিনি মজুদ করে রাখার জন্য প্রতিটি ৬৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার দুটি গুদাম ঘর রয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর ২০২০ এর হিসাব মতে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল কুষ্টিয়া সুগার মিলকে যার ২০১৯–২০ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬১ কোটি টাকা।
বন্ধ হওয়ার কারণ….
প্রথমত, কোনো কারণ ছাড়াই এই কারখানাতে উৎপাদিত চিনির ব্যয় বেশি।
দ্বিতীয়ত, এ কারখানার চিনির দাম বেশি হওয়ায় বাজারে বিক্রি হয় না। বিক্রি না হওয়ায় মূলধন আটকে যাচ্ছে, আর এর ফলে বাড়ছে ব্যাংক ঋণের সুদের পরিমাণ।
তৃতীয়ত, সরকারি চিনিকলগুলোয় ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল আখ পাওয়া যায় না। আখের অভাবে চিনিকলগুলো বন্ধ থাকে মাসের পর মাস। তবে বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে সারা বছরের বেতনভাতা দিতে হয়। ফলে লোকসানের পরিমাণও বাড়ছে।
চতুর্থ কারণ, উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রতিদিন ব্যাংকগুলোর কাছে চিনিকলগুলোর দায় বাড়ছে।
পঞ্চমত, মানহীন ক্ষতিকর ও কম দামে সাদা চিনির ব্যাপক আমদানী।
তবে এই চিনি কল বন্ধের পিছনে রয়েছে আরও অনেক অজনা রহস্য।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post