মেহেরপুর প্রতিনিধি: জিয়াউর রহমান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জাতীয়তাবাদী দলের একজন সংগ্রামী, ত্যাগী ও প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিবিদ।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর জন্য কাজ করে আসছেন।
স্নাতক ডিগ্রিধারী মোঃ জিয়াউর রহমান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গাংনী পৌরসভা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, পৌর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালের বিস্ফোরক মামলা (নং-৭৮৪), ২০১৪ সালের মামলা (নং-২০০/১৫), এবং ২০২৩ সালের মামলা (জিএর-৫৪/২৩)।
একজন সৎ ও আদর্শবাদী নেতা হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি ও সম্পদ দখলের মতো নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন এবং তাঁর বাম হাতে ১১টি সেলাই দিতে হয়।
মোঃ জিয়াউর রহমান একজন ব্যবসায়ী, গাংনীতে “ময়দা হার্ডওয়ার এন্ড স্যানেটারি” নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাঁর স্ত্রী মোছাঃ ময়না খাতুন একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জাতীয়তাবাদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জিয়াউর রহমানের পিতা মোঃ আব্দুল মোতালেব একসময় বিএনপি-গঠিত গ্রাম সরকারের সদস্য ছিলেন। তাঁর ভাই মোঃ হাসান আলী একজন প্রভাষক এবং গাংনী উপজেলা বিএনপির সক্রিয় সদস্য।
দলীয় আদর্শকে সমুন্নত রেখে বিএনপির সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন মোঃ জিয়াউর রহমান। ভবিষ্যতে যদি তাঁকে গাংনী পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি মনে করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচারী দুঃশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে তিনি সর্বদা সংগ্রামের প্রথম সারিতে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
![প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন](http://dailydeshtottoh.com/wp-content/plugins/wp-print/images/printer_famfamfam.gif)
Discussion about this post