মেহেরপুরে টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তার বদলির অভিযোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে টাকার বিনিময়ে ইউপি সচিবের বদলির অভিযোগ উঠেছে জেলা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে।

এমন ঘটনা গাংনী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও বামুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত দশ বছর যাবত মনিরুল ইসলাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ পাঁচ মাস আগে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন মটমুড়াতে তার বদলি হয়। ১০ বছরের কোন প্রকার অফিসিয়ালুি তথ্য না বুঝিয়ে দিয়ে বদলি হন মনিরুল ইসলাম। এ নিয়ে ক্ষোভ বইতে থাকে ইউপি সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে। মেহেরপুরের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন কয়েক লাখ টাকা অর্থের বিনিময়ে আবারো মনিরুল ইসলাম কে বামন্দীতে বদলি করা হয়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, গত পাঁচ মাস আগে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে বদলি করে বামুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বভার হাতে পেলেও আমাকে কোন প্রকার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। বরং অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন স্যার তাকে বদলি করে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদে দিয়েছে।

এ বিষয়ে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, অসুস্থ জনিত কারণে গত চলতি মাসের ৩ তারিখে মেহেরপুর জেলা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক স্যারের নিকট একটি লিখিত আবেদন করি যার প্রেক্ষিতে আমাকে আবারো বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদে বদলি করেছেন। তবে তিনি আবেদনের কোন রিসিভ কপি দেখাতে পারেননি।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, মনিরুল ইসলাম গত দশ বছর যাবত অনেক দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন। আব্দুর রহমানকে ঠিকমত ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব না বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান। আবার নতুন করে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করবেন বলে জানান তিনি।

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) ইউপি চেয়ারম্যান আইজ উদ্দিন জানান, টাকার বিনিময়ে বদলি হয়েছে এটা আমরা শুনেছি। এনিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা স্থানীয় সরকারের (সাবেক) উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসান জানান, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মনিরুল ইসলামকে আগের কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার পছন্দমত জায়গায় বদলি করা হয়েছে। এখানে কোন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন হয়নি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহরাজ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।