মেহেরপুরের মুজিবনগররের সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল সাদাত রত্ম আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অন্য একজন কে জমি দখল করে দিয়েছে। এসময় এক নারীসহ চার জনকে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করিয়েছে। নির্যাতন শেষে তাদের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে উপজেলা পরিষদে নিয়ে এসে ভাম্যমান আদালতে সাজা দিয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্ত সহ সহকারি কমিশনারের বিচার চেয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে জমির মালিক আজিমুদ্দিন । সোমবার(১১ সেপ্টেম্বর) সকালে মেহেরপুর জেলাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি ও তার পরিবার।
লিখিত অভিযোগে আজিমদ্দিন জানান, মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাঝের পাড়ায় আজিমদ্দিন ও তার পরিবার বংশ পরমপর শত বছর ধরে ২৫শতক জমিতে বসবাস করে আসেছে। জমিটি সঠিক সময়ে নাম খারিজ না করারর কারণে খ তপসিলে অন্র্Íভুক্ত হয়। যা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান আছে। এই সুযোগে মজিদ ও অপর ২ জন জমি দখলের চেস্টা করে। আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রাস্তার জন্য মামলা করে ।
মজিদের দাবী যৌতিক না হওয়ায় আদালত মামলাটি গত ২৬ এপ্রিল খারিজ করে দেয় । কিন্তু হঠাৎ গত ৭ সেপ্টম্বর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: নাজমুস সাদাত রত্ন পুলিশ সহ আজিমদিন এর বাড়িতে যেয়ে পুলিশ দিয়ে তার পরিবারের উপরের নির্যাতন করে। এসময় পুলিশ বয়বৃদ্ধ ফাতেমা খাতুনের গায়ে হাতদেন, বাড়ির পুরুষ সদস্যদের মার ধর করে।
পর হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে জোরপূবর্ক গাড়িতে তুলে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেয়ে তিন জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে স্বপ্রণেধদিত হয়ে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ১৮৯ ধারায় চার হাজার টাকা জরিমানা করে। তবে নাজমুস সাদাতের দাবি তিনি সকল কাজ আইন সম্মতভাবে করেছেন।
গ্রামবাসীরা বলেন, যে এঘটনার প্রতিবাদ করতে বা দেখতে এসেছে তাদেরকেই পুলশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে।
মুজিবনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, তিনি যা করেছে আইন মেনেই করেছে এমন বলছিলেন এই কর্মকর্তা ।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, এটা নিউজের বিষয় নয় , অনেক নিউজ আসে সেগুলো করেন।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রিন্ট করুন
Discussion about this post