মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার একাধিক আঁকাবাকা টিলায় সবুজ মিষ্টি মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাগান তৈরি হয়েছে।
খরচ কম হওয়ায় ও আবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় মাল্টা চাষে কৃষকরা আগ্রহী।
উল্লেখ্য; গত বছরে ছিল ১৮ হেক্টর। এবারে মাল্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮৬ টন। উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে আবাদ হচ্ছে মাল্টার বাগান। ফুলতলা, পূর্বজুড়ী, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে ফলন বেশি হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লালছড়া, হায়াছড়া, ডোমাবাড়ী, কচুরগুলসহ বেশ কয়েকটি বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। বারী-এক জাতের মাল্টা সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ার ফলে চাহিদা ব্যাপক। মাল্টা চাষি মো: খালেদ উদ্দিন বলেন, আমি মাল্টা বাগান তৈরী করেছি। সরকার থেকে সার সহ সকল ধরণের সহযোগিতা পেয়েছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত বাগানে তদারকি করেছেন। ডোমাবাড়ী গ্রামের সফিক উদ্দিন বলেন, সরকারি ভাবে ১০ শতাংশ জমিতে ৩০ টি গাছের একটি প্রদর্শনী পেয়েছেন। গাছের বয়স এখন তিন বছর হয়েছে চলতি বছর প্রতিটি গাছে প্রায় ২৫ থেকে ৬৫ টি করে ফল এসেছে। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে মাল্টা বাগানের সংখ্যা ৪৭টি। এই এলাকায় উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জানা গেছে মাল্টার ফলন খুবই ভালো হয়। অক্টোবরের শেষের দিকে মাল্টা ফলে কালার আসতেছে। পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে ছোট বড় বাগান প্রায় ১০ হেক্টর বনভূমিতে মাল্টা বাগান রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু বাগানে মাল্টা উৎপাদন শুরু হয়েছে। জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো: মাহমুদুল আলম খাঁন বলেন, লেবু জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে মাল্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। শুকনো মৌসুমে মাল্টার উৎপাদন বাড়াতে গাছের পরিচর্যায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তিতে পানি ও সার একসাথে দেওয়া যাবে ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে। তিনি জানান, যারা মাল্টা চাষ করেছে তাদের সকলের ফলন ভালো হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post