ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে নির্বাচনী মাঠে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের দিকে জনশ্রুত বিরাজ করছে।
তুহিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত হয়ে টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সাধারণ ভোটারদের ধারণা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তিনি আবারও এমপি হবেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও একটি পৌরসভার মেয়র এবং একাধিক স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের পক্ষে সরাসরি ভোটের মাঠে কাজ করছেন।
নান্দাইল পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া নৌকা প্রতীকে নিয়ে নির্বাচিত হন। অপরদিকে, বীর বেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, মোয়াজ্জেমপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার শিউলী, মুশুল্লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার উদ্দিন ভূঁইয়া বিপ্লব, শেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন ভূঁইয়া,খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত ভূঁইয়া মিন্টু ও জাহাঙ্গীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মণ্ডল বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন।
তাঁরা নৌকার মনোনীত এমপি প্রার্থীর বিপক্ষে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
সাবেক আওয়ামী লীগের নেতা হাসান মাহমুদ জুয়েল বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। তিনিও সরাসরি ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। স্বতন্ত্র আরও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এ তালিকায় রয়েছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা দুইজনই। আরও আছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
এবার নান্দাইল আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। তিনি আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েও ঈগলের দাপটে স্বস্তিতে নেই।
নান্দাইল পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই পছন্দের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন নান্দাইলের উন্নয়নের রূপকার। প্রকৃত পক্ষে তিনি জনসেবক।’
জাহাঙ্গীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার জনগণ সবাই তাঁর পক্ষে। তাই আমি তার বাইরে যেতে পারছি না। যেহেতু দল উন্মুক্ত করে দিয়েছে, এতে তো কোনো বাধা নেই।’
সাধারণ মানুষের বক্তব্য, সুখে-দুঃখে যাকে সরাসরি কাছে পাওয়া যায়, যে এলাকার উন্নয়ন করে, তাকে আমরা এমপি হিসেবে চাই। বিগত ১০ বছরে পরীক্ষিত মানুষ তুহিন, তাঁর বিকল্প নান্দাইলে প্রার্থীর মধ্যে কেউ নেই।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//