যবিপ্রবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় দুই তদ্ন্ত কমিটি গঠন ও এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং কমিটি স্থগিত করায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে।
অন্যদিকে, যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সহসভাপতি আল মামুন শিমন। সার্বিক বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়,ছাত্রলীগের নামে পুরো ক্যাম্পাসকে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। যার নেপথ্যে ছিলেন সভাপতি সোহেল রানা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বাদেও বহিরাগতদের আড্ডাখানায় পরিণত করতেন তারা। তাদের অনেকেই মাদকের সাথে যুক্ত ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালাতেন দিনরাত। প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতেন শিক্ষার্থীরা।
গত ৩১ আগস্ট এক শিক্ষার্থীকে মারপিট করে হলছাড়ার হুমকি দেয় ছাত্রলীগের দু’ নেতা। এছাড়া, ছাত্রলীগের দু’ গ্রুপের মধ্যে প্রতিনিয়ত হামলা মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হয়। শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। কমিটি স্থগিতের খবরে স্বস্তি ফিরেছে ক্যাম্পাসে।
যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগে সদ্য স্থগিত হওয়া কমিটির সহসভাপতি আল মামুন শিমন সভাপতি সোহেল রানা ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক যশোর শহরের কাজীপাড়ার মনিরুল ইসলাম হৃদয়, ঝিনাইদহের মহেশপুরের দুর্গাপুর গ্রামের ইছাদ হোসেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ গ্রামের রনি, এছাড়া রাইসুল হক রানা, রাফি ও বেলাল।
যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অনাকঙ্খিত। তবে, কঠোর অবস্থানে রয়েছে যবিপ্রবি প্রশাসন। ইতিমধ্যে তারা এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন। দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post