আবেদ হোসাইন, যশোর : যশোরে অর্ধ লক্ষ গ্ৰাহক স্মার্ট প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার নিয়ে চরম বিড়াম্বনা ও অর্থদণ্ডের শিকার হচ্ছন।
দীর্ঘদিনের অভিযোগ প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করলে একের পর এক চার্জ দেখিয়ে কেটে নেয়া হয় মিটার একাউন্টের টাকা।
এছাড়া নতুন ব্যালেন্সের সাথে পূর্বের ব্যালেন্স যোগ না হওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। হতবাক হওয়ার বিষয়-এসব মিটার স্থাপনের সময় বলা হয়েছিল ১৭ মাস মিটার ভাড়া নেয়া হবে। কিন্তু সেই সময় আর শেষ হচ্ছে না। দিব্যি মিটার ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতে টাকা কেটে নিচ্ছে।
জানা গেছে, এসব স্মার্ট প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটারে মাসে এক হাজার টাকা রিচার্জ করলে টোটাল চার্জ কর্তন করা হয় ১৬৬ দশমিক ৪৫ টাকা, মাসিক মিটার ভাড়া বাবদ কর্তন করা হয় ১৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ বাবদ কর্তন করা হয় ৮৪ টাকা, ভ্যাট কর্তন করা হয় ৪৬ দশমিক ৯ টাকা। সব চার্জ কেটে গ্রাহকের প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স এসে দাড়ায় ৬৬৫ টাকা থেকে ৬৮৫ টাকা। যাদের ৫ কিলো ওয়াট করা হয়েছে, তারা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এছাড়াও গ্রাহকদের অভিযোগ বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ভালো থাকা সত্বেও এবং কম সংখ্যাক বৈদ্যুতিক ডিভাইস ব্যবহারের পরও ভুতের মতো হুহু করে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করা টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে।
যশোর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বাসিন্দা বলেন, প্রতি মাসে এক-দেড় হাজার টাকা করে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করি। রিচার্জ করার সাথে সাথে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নানা চার্জ দেখিয়ে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে কেটে নেওয়া হয়।
একই এলাকার আলম হোসেন বলেন,আগে এনালগ মিটারে আমার বাসা-বাড়িতে মাসে ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা বিল উঠতো।
গৃহিণী রত্না বলেন, মিটারে টাকা রিচার্জ করলে ভূতে খেয়ে ফেলছে।
যশোর সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) এর সভাপতি শাহিন ইকবাল বলেন, প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ‘আমরা এর আগেও জনগনের এই দূর্ভোগ নিয়ে আন্দোলন করেছি। মিটার ভাড়া কি এ কয়বছরে এখনো পরিশোধ হয়নি?
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো যশোর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ওজোপাডিকো যশোর-১ এর আওতায় যশোরে ২৩ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার ব্যবহারকারী রয়েছে।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো যশোর-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধান বলেন,অনেক সময় অনেক বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ে সমস্যা থাকে যার কারণে বিদুৎ বেশি পোড়ে এবং মিটারের টাকা দ্রুত খরচ হয়।