নিজস্ব প্রতিনিধি, যশোর : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ও সাবেক সংসদ সদস্য চাকলাদারের বিপুল সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দুদক সদর দফতরের একটি দল যশোরে এসে প্রকৌশলী দিয়ে তার সকল স্থাপনার পরিমাপ করে গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ইতোপূর্বে স্ত্রীসহ তাকে দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা কেউ দুদক কার্যালয়ে যাননি, সাড়াও দেননি ।
দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুদক সদর দফতরের উপ-পরিচালক মো. শফিউল্যাহ ও সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল যশোরে আসে।
এরপর টিমের সদস্যরা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীর সহায়তায় প্রথমে শহরের চিত্রা মোড়স্থ শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালের ভবন পরিমাপ করেন। পরে শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠাতলা এলাকার বাড়িসহ অন্য স্থাপনা পরিমাপ করা হয়।
দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন জানান, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী দিয়ে স্থাপনা পরিমাপ করা হয় নির্মাণের ব্যয়ের সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য। স্থাপনা পরিমাপের পর গণপূর্ত বিভাগ থেকেই নির্মাণ ব্যয়ের তথ্য দুদকে সরবরাহ করে থাকে।
তিনি আরও জানান, দুদক তাদের অনুসন্ধানের পর অভিযুক্তের কাছে সম্পদ বিবরণী চাইতে পারে, আবার নাও চাইতে পারে। শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে যদি মামলা হয়, সেটি যশোর দুদক কার্যালয়ে করতে হবে।
তিনি আরও জানান, যশোরের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানের কাজ করছে দুদক সদর দফতর থেকে। এর আগে দুদুকের আলাদা টিম গোপনে যশোরে এসে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের সম্পদের অনুসন্ধান করে।

Discussion about this post